প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের বিয়ের দিন চকলেটে ঢাকা বিয়ের পোশাকে মার্শম্যালো মিষ্টির ছবি প্রকাশ করে জার্মান কোম্পানি সুপার ডিকম্যান। ওই ছবি প্রকাশের পরপরই বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। অত:পর সেই বর্ণবাদী ঘটনায় ক্ষমা চাইলো সুপার ডিকম্যান।
গত ১৯ মে জার্মানির ওই প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজে মেগান আকৃতির চকলেটের ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘কী দেখছেন? আপনারাও কি আজ মেগান হতে চান না?’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাদের এ ছবিটিকে বর্ণবাদী হিসেবে মন্তব্য করেন। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র এই পোস্টটিকে ‘বোকামি ও বিব্রতকর’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
ফেসবুক পেজে সবার নেতিবাচক মন্তব্যের পর সুপার ডিকম্যানের পেজে লেখা হয়, ‘ক্ষমা চাইছি। সুপার ডিকম্যানের পৃথিবী খুবই রঙিন এবং বর্ণবাদী চিন্তাভাবনা থেকে অনেক দূরে।’
মুখপাত্র বার্নড রোয়েসলার মন্তব্য করেন, পোস্টটি দেয়ার আগে তারা খুব বেশি কিছু ভাবেনি। পরে ছবিটি ডিলিট করা হলেও সেটি থেকে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সুকোকুস একটি সুপরিচিত জার্মান মিষ্টি। সুকোকুস আর বর্ণবাদের সম্পর্কটা অনেক পুরনো। কোথাও কোথাও এটিকে নেজেরকুসও বলা হয়। যার অর্থ, কালো ব্যক্তির চুমু।
জার্মানের সরকারি সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান জেডডিএফও বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রাজবিয়ের খবর প্রচারের সময় কিছু বর্ণবাদী শব্দ ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি। তারা মেগানকে ‘বহিরাগত’ বলার পাশাপাশি মেগানের প্রতি রাণীর অন্ধ দৃষ্টি রয়েছে বলেও প্রচার করে।