চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মৃদু উপসর্গ হলেও ওমক্রিনকে গুরুত্ব দিতে হবে যে কারণে

ওমিক্রনের সংক্রমণের পর অনেকেরই মৃদু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। আর তাই কেউ কেউ খুব একটা সতর্ক থাকছেন না। কিন্তু মৃদু উপসর্গ হলেও ওমক্রিনকে হালকাভাবে নেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়া রোগীর সংখ্যা খুবই কম, প্রায় নেই বললেই চলে। এর কারণে অনেকেই মনে করছেন, ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন অনেকটাই মৃদু স্বভাবের। এর দ্বারা সংক্রমিত হলে সেটিও হয় মৃদু, এমনই ধরে নিয়ে অনেকেই উপসর্গ দেখা দিলে সাধারণ জ্বর ঠান্ডা ভেবে এড়িয়ে যাচ্ছে।

ওমিক্রন কম ক্ষতিকারক হলেও অনেক বেশি সংক্রামক। শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন এতে। তাই চিকিৎসক এবং অতিমারি বিশেষজ্ঞরা বারবারই সতর্ক করছেন, যাতে কেউ ওমিক্রনকে হালকা ভাবে না নেন। উপসর্গ মৃদু হলেও সচেতন এবং সতর্ক থাকা জরুরি।

বর্তমানে করোনা আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই মৃদু উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে আছেন বলে জানা গিয়েছে। আগের দুবারের তুলনায় মানুষের করোনা আতঙ্ক অনেকটা কমে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে এই মৃদু উপসর্গ। অনেকেই ভাবছেন যে, আক্রান্ত হলেও বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।

কিন্তু আক্রান্তের পর ক্লান্তি, জ্বর, গলা ব্যথা, বমি, কাশি, বিভিন্ন পেশীতে ব্যথা থাকছে। এমনকি, অনেকের কানে শুনতেও সমস্যা হচ্ছে। শুধু আক্রান্ত থাকাকালীন নয়, কোভিড পরবর্তী সময়েও অসুস্থতা থেকে যাচ্ছে। যাকে চিকিৎসকরা ‘লং কোভিড’ বলে চিহ্নিত করেছেন।

অনেকেই আবার আক্রান্ত হচ্ছেন ঘ্রাণজনিত সমস্যা ‘প্যারসমিয়া’তে। উপসর্গ মৃদু হলেও তার রেশ থেকে যাচ্ছে বহু দিন। শরীরের ভিতর থেকে ক্ষয় ঘটছে। তাই এই পরিস্থিতি সুস্থ জীবনযাপন করতে সচেতনতায় ঘাটতি রাখা যাবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ওমিক্রনকে প্রাথমিকভাবে সাধারণ শীতকালীন ঠান্ডা লাগা ভেবে এড়িয়ে গেলে চূড়ান্ত ভুল হবে। অনেক দেশে ওমিক্রনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়েছে। এমনকি ওমিক্রনে মৃত্যুর আশঙ্কাও যথেষ্ট।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি গবেষণায় জানা গেছে, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর অনেকেরই সাময়িকভাবে স্মৃতিশক্তিও হ্রাস পাচ্ছে। ‘ব্রেন কমিউনিকেশন’ নামে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার ছয় থেকে নয় মাস পরে স্মৃতিশক্তি হ্রাস, ক্লান্তি এবং দুর্বলতার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

বয়স্ক এবং যাদের কো-মর্বিডিটি আছে, তাঁদের বাড়তি সুরক্ষা প্রয়োজন। এ ছাড়া, শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। ১২ বছরের কম বয়সিদের এখনও করোনা টিকার প্রক্রিয়া চালু হয়নি। ফলে তাদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা এবং সচেতনতা জরুরি।

সর্বোপরি সংক্রমণকে হালকাভাবে না নেওয়াই সকলের জন্য মঙ্গলজনক। মাস্ক পরিধান করা উচিত সবার। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। উপসর্গ দেখা দিলে নিজেকে আলাদা রাখতে হবে।