চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মৃত্যুর পরও সক্রিয় শায়খ আব্দুর রহমানের নেটওয়ার্ক

রংপুরের পীরগাছার পশুয়া টাঙ্গাইল পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে উগ্র জঙ্গিবাদী কার্যক্রম। এলাকাবাসীর অভিযোগ, টাঙ্গাইল পাড়া থেকে একসময় জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমান আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক তৈরি করে দেশব্যাপী নাশকতার নেতৃত্ব দিত। সেই নেটওয়ার্ক এখানো সক্রিয় রয়েছে। তাদের কার্যক্রম এখনও বন্ধ হয়নি। 

এলাকাবাসীর তথ্য ও পুলিশী তদন্তে উঠে এসেছে এসেছে, টাঙ্গাইলপাড়া ও বড়দরগায় দু’টি মসজিদ নির্মাণের মধ্য দিয়ে ২০০১ সালে জেএমবি’র জন্ম হয়। মসজিদ দু’টির উদ্বোধন করেন জেএমবি’র শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান। টাকার প্রলোভন ও ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের দিয়েই তখন থেকে শুরু হয় জঙ্গি কার্যক্রম।

এ সময়ের মাদ্রাসা ছাত্র ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এখানেই তৈরি করা হয় শক্তিশালী জেএমবি নেটওয়ার্ক। আর এই কাজে অর্থায়ন করতো, কুয়েতের রিভাইভ্যাল অব ইসলামিক হ্যারিটেজ সোসাইটি। 

জেএমবি হোক বা যেই হোক এসব জঙ্গিগোষ্ঠী ধ্বংস হোক সেটাই চায় এলাকাবাসী। 

২০০৭ সালের ৩০ মার্চ শায়খ আব্দুর রহমানের ফাঁসির পর থেকে ওই গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয় মেহেদী হাসান। এলাকাবাসী বলছে, মেহেদী হাসান ছিলো জেএমবি’র অন্যতম সংগঠক। নানানভাবে তারা এলাকার মানুষকে ভুলপথে নিয়ে যেত।

দেশের শীর্ষ এ জঙ্গিনেতা সিলেটের একটি বাড়িতে ৩৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে ২০০৬ সালের ২ মার্চ র‌্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করে।

পুলিশের কল্যাণপুর অভিযানে নিহত রায়হান কবিরের জেএমবি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার পর ওই এলাকাকে জঙ্গিমুক্ত করতে এক হয়েছে গ্রামবাসী। 

পীরগাছা ইটাকুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান জানান, এরা সবাই আগে জামায়াতে ইসলাম করতো।  

জেএমবি’র সামরিক শাখার কমান্ডার মাসুদ রানা গ্রেফতারের পর থেকে টাঙ্গাইল পাড়া নিয়ে নড়েচড়ে বসে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিখোঁজ মেহেদীকে খুঁজছে পুলিশ। 

রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুরো রংপুর বিভাগে আমরা ৫৪ জন নিখোঁজ ব্যক্তি পেয়েছি। তাদের মধ্যে ১৩ জন জেএমবির সদস্য বলেই আমাদের সন্দেহ।

জেএমবির বিরুদ্ধে পুলিশের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল।