ভয়কে জয় করার মাঝে যারা আনন্দ খুঁজে পান তারা ছুটি পেলেই বেড়াতে যান অ্যাডভেঞ্চারাস কোনো যায়গায়। কারও পাহাড় চূড়ায় ওঠার নেশা আবার কারও সমুদ্রকে জয় করার নেশা। যারা এমন ভয়ানক সব স্থানে বেড়াতে পছন্দ করেন তারা আজ জানবেন বিশ্বের সবচাইতে ভয়ানক কিছু স্থান সম্পর্কে। এই যায়গাগুলো সাহসী পর্যটকদের খুব প্রিয়। চাইলে টাকা জমিয়ে আপনিও ঘুরে আসতে পারবেন দারুণ এসব স্থান থেকে।
ডানাকিল মরুভূমি, এরিট্রেয়া: কেক কিংবা বিস্কুট বেক করতে যেরকম তাপমাত্রা প্রয়োজন, এই মরুভূমির তাপমাত্রা সেরকমই। ১২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার এই মরুভূমিতে আছে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এবং বিভিন্ন স্থানে আছে বিষাক্ত গ্যাস। অনেকেই এই স্থানটিকে ‘পৃথিবীর জাহান্নাম’ বলে থাকেন। কিন্তু তাতে কী! অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য যেন স্বর্গ এই যায়গাটি। পুরো পৃথিবী থেকেই প্রচুর পর্যটক এই মরুভূমিতে বেড়াতে আসেন। তবে গাইড ছাড়া এই এলাকায় যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ।
ডেথ ভ্যালি, আমেরিকা: ডেথ ভ্যালির নামটাই গা ছমছমে। যেন মৃত্যু হাতছানি দিয়ে ডাকছে সেখানে। ডেথ ভ্যালির তাপমাত্রা ডানাকিল মরুভূমির চাইতেও বেশী। ১২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। পানি না নিয়ে গেলে এখানে মাত্র ১৪ ঘণ্টা বেঁছে থাকা সম্ভব।
মাউন্ট ওয়াশিংটন: হালকা-পাতলা গড়নের মানুষকে মজা করে বলা হয় ‘বাতাসে উড়ে যাবে।’ মাউন্ট ওয়াশিংটনে গেলে সত্যিই উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, এখানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টাও ২০৩ মাইল। তীব্র গতির বাতাসের পাশাপাশি জমে যাওয়ার মতো ঠাণ্ডা এখানে। -৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকে সাধারণত। মাঝে মাঝে শুরু হয় প্রচণ্ড তুষারপাত। তাই ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬২৮৮ ফিট উপরের এই পাহাড়চূড়াটি খুবই বিপদজনক। বেড়াতে এসে হারিয়ে যাওয়া পর্যটকদের প্রচুর মৃতদেহ পাওয়া যায় এখানে। কিন্তু তবুও যেন ভয়ানক এই স্থানটি হাতছানি দিয়ে পর্যটকদের ডাকে।
ইহা দা কুইমাদা গ্র্যান্ডে (স্নেক আইল্যান্ড), ব্রাজিল: ব্রাজিলের স্নেক আইল্যান্ড পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক স্থানগুলোর একটি। কারণ, সাপ! ভয়ানক সব বিষাক্ত সাপে ভরা এই দ্বীপ। প্রতি স্কয়ার মিটারে পাঁচটি করে সাপ থাকে গড়ে। ফেলেই মোটামুটি মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও অনেক পর্যটক সেখানে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এখন পর্যটকদের জন্য এই স্থানটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ব্রাজিল সরকার।
মাদিদি ন্যাশনাল পার্ক, বলিভিয়া: ছবিতে দেখতে যতটা শান্তির যায়গা মনে হচ্ছে, আসলে তার বিপরীত। কারণ এই পার্কের প্রাণীকুল খুবই ভয়ংকর। এমনকি কিছু গাছও আছে যেগুলো আপনার ত্বকে একটু ছোঁয়া লাগলেই বিষক্রিয়া শুরু হয়। হালকা একটু কেটে-ছিঁড়ে গেলেও সেই স্থানটিতে প্রাণঘাতী ট্রপিক্যাল প্যারাসাইটের সংক্রমণ হতে পারে। তবুও পর্যটকরা এখানে বেড়াতে যায়!
এলিফেন্ট কিংডম (চনবুরি), থাইল্যান্ড: হাতের নাগালেই আছে এই যায়গাটি। কিন্তু সাবধান, এখানে আছে কুমিরের খামার। একটু অসাবধান হয়ে পানিতে পড়ে গেলে মুহূর্তেই ধারাল দাঁত দিয়ে ছিড়ে খেয়ে ফেলবে হিংস্র কুমির। তবুও সাহস করে অনেক পর্যটক এখানে বেড়াতে যান এবং ফিশিং রড দিয়ে কুমিরকে মাংস খাওয়ান। আর কুমিরও লাফ-ঝাপ দিয়ে মাংস খেতে আসে তাদের কাছ থেকে। ব্রাইট সাইড