মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া কারাবিধির ৯৮০ বিধিটি কেন অসাংবিধানিক হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত তিনজন আসামির পক্ষ থেকে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে মো: মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে দেশের কারাগারগুলোর কনডেম সেলে থাকা আসামিদের জন্য কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তা ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে দিতে কারা মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এসংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির এবং কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। সে রিটে উল্লেখ করা হয় যে, দেশে এখন ২ হাজারের অধিক ফাঁসির আসামি কারাগারগুলোতে কনডেম সেলে রয়েছে।
রিটের যুক্তিতে বলা হয় যে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়। আবার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়েরের বিধান রয়েছে। এরপর আবার হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে (আপিল বিভাগে) আপিল করার সুযোগ রয়েছে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবার রিভিউ (পুনর্বিবেচনার) আবেদনের সুযোগও রয়েছে। সবশেষে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করতে পারেন আসামি। রাষ্ট্রপতি ক্ষমার আবেদন গ্রহণ না করলেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কিন্তু দেশের বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে বন্দি রাখা হচ্ছে। তাই এটি চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।