খাদ্য আর পানির অভাবে মূত্র পান করছেন আন্দামান সাগরে ভাসা কয়েকশ’ শরণার্থী। থাইল্যান্ডের উদ্দেশে পাড়ি জমানো এসব শরণার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত না খেয়ে মারা গেছেন ১০ জন। পানি না পেয়ে জীবিতদের মধ্যে অনেকেই তাদের মূত্র সংরক্ষণ করছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রায়
সাড়ে ৩শ’ শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকাকে থাইল্যান্ড সরকার তাদের জলসীমানায়
প্রবেশে বাধা দেয়ায় গত তিন মাস ধরে সাগরে ভাসছেন এসব শরণার্থী। তাদের সবাই মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা।
তাদের বহনকারী দালালচক্র নৌকার ইঞ্জিন বিকল করে পালিয়ে গেছে বলে শরণার্থীরা জানিয়েছেন। আর মৃত দেহগুলো সাগরে ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
বেঁচে থাকার জন্য শরণার্থীরা জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
সন্দেহ করা হচ্ছে শুধু এ সাড়ে ৩শ’ নন, আরো কয়েক হাজার মানুষ মানবপাচারকারীদের খপ্পড়ে পড়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার উপকূলে ভাসছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, আইওএমেরও একই ধরনের আশংকা।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূল থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জোনাথন হেড জানান, শরণার্থীরা খাবারের এবং পানির জন্য আকুতি করছেন। নৌকায় অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। তাদের বহনকারী নৌকাটি অনেক পুরনো।
সাড়ে ৩শ শরণার্থী নিয়ে নৌকাটি যেখানে ভাসছে সেখানকার গড় তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের তাপেও প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে তাদের।
নৌকাটিতে ৫০ জন নারী ও ৮৪টি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন জোনাথন। মালয়েশিয়ার জলসীমায় ছয়দিন আগে তাদের নৌকার ইঞ্জিন বিকল করে চলে যায় পাচারকারীরা।