সাদা বলের ক্রিকেটে দুর্দান্ত লড়াই শেষে টেস্টের ফয়সালাই বড় করে দেখা হচ্ছিল পূর্ণাঙ্গ সিরিজে। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে শিশুতোষ ক্রিকেট খেলে তিন দিন আর দুই সেশনে শ্রীলঙ্কার কাছে প্রথম টেস্টে হেরে বসেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ৮৭ রানের ইনিংস খেললেও ব্যবধান খুব একটা কমেনি। সিলেট টেস্টে স্বাগতিকদের ৩২৮ রানে হারিয়েছে লঙ্কাবাহিনী। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসেও গুটিয়ে গেছে দুইশর আগে। ৪৯.২ ওভার ব্যাটিং করে চতুর্থ দিনের চা-বিরতির আগে ১৮২ রানে গুটিয়ে যায়। অন্যপাশে সব উইকেট পড়ে যাওয়ায় সেঞ্চুরির সুযোগ হাতছাড়া হয় মুমিনুলের। বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটার ১৪৮ বলে ১২টি চার ও একটি ছয়ে করেন অপরাজিত ৮৭ রান।
শ্রীলঙ্কা: ২৮০ ও ৪১৮
বাংলাদেশ: ১৮৮ ও ১৮২
ফল: শ্রীলঙ্কা ৩২৮ রানে জয়ী।
সিলেট টেস্টে আগেরদিনই পরাজয়ের ডাক শোনা স্বাগতিকরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় ধারাবাহিকভাবে বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে। ঠিক যেন প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং অনুসরণ করেছে বাংলাদেশ। আগেরবার রান করেছিলেন কেবল তাইজুল ইসলাম, এবার মুমিনুল হক।
৫ উইকেটে ৪৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা বাংলাদেশ প্রথম সেশনে হারিয়েছে দুটি উইকেট। দিনের শুরুতে দলীয় ৫১ রানে ফিরে যান তাইজুল (৬)। মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মুমিনুল। দলীয় একশ পেরিয়ে ৩৩ রানে কাসুন রাজিথার শিকার হন মিরাজ।
শরিফুল ইসলামের সঙ্গ নিয়ে মুমিনুল আরও কিছুটা পথ পাড়ি দেন। কমাতে থাকেন হারের ব্যবধান। খালেদ আহমেদ ও নাহিদ রানা রানের খাতা খোলার আগে ফিরলে তিন অঙ্ক আর ছোঁয়া হয়নি মুমিনুলের।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ টাইগার ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। যা ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে।
৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় ফিরেছিলেন রানের খাতা খোলার আগেই। অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন।
পরে স্বাগতিক অধিনায়কের ব্যাটে আসে ৬ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৯ রান। আরেক ওপেনার জাকির হাসান ফেরেন ১৯ রানের ইনিংস খেলে। শাহাদাত হোসেন দীপু রানের খাতা খুলতে পারেননি। সাদা বলের পর লাল বলেও ভুগছেন লিটন দাস। ক্ল্যাসিক ব্যাটার মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। পঞ্চাশের আগে ৫ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার কাজে বিধ্বস্ত হওয়ার পথে থাকে বাংলাদেশ।
লঙ্কান পেসার বিশ্ব ফের্নান্দো ৩ উইকেট নেন, দুটি উইকেট নেন লাহিরু কুমারা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে কাজের কাজটি করেন কাসুন রাজিথা, ৫৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে।
দুই ইনিংসেই হতশ্রী ব্যাটিং ছাড়াও বোলিংয়েও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ রানে সংগ্রহ গড়ে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে সফরকারীরা ৯২ রানে লিড পাওয়ায় স্বাগতিকদের লক্ষ্যটা হয়ে যায় হিমালয়ের মতো।