মুস্তাফিজুর রহমানের অভিষেক টেস্ট ম্যাচেই অসাধারণ নৈপুণ্য এবং স্পিন বোলারদের সাফল্যের দিনে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের গতি এবং ঘূর্ণির দূর্দান্ত প্রদশর্নীর দিনে একরকম আত্মসমর্পণই করতে হয় প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর দল সাউথ আফ্রিকার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে টাইগার বোলাররা ধসিয়ে দেওয়ায় প্রথমদিনই প্রোটিয়ারা অলআউট হয়েছে ২৪৮ রানে।
দিনশেষে বিনা উইকেটে ৮ রান করেছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ১ এবং ইমরুল কায়েস ৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
অভিষিক্ত মুস্তাফিজের চার উইকেট শিকারের দিনে লেগ স্পিনার জুবায়ের নিয়েছেন তিন উইকেট। তবে কিছুটা অভাগা পেসার শহিদ। তার বলে একাধিক ক্যাচ মিস করেছেন ফিল্ডাররা।
ওয়ানডের মতো জীবনের প্রথম টেস্টেও চমক দেখানো নতুন বোলিং সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান ইনিংসের ৬০তম ওভারের ১ম, ২য় এবং ৪র্থ বলে তিন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। টাইগারদের এই বোলিং বিস্ময় অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও প্রোটিয়াদের দলীয় ১৭৩ রানেই হাশিম আমলা, জেপি ডুমিনি এবং কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়েছেন তিনি।
আমলা এবং ডুমিনিকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন ব্যাটসম্যানদের জন্য ত্রাস হয়ে উঠা বয়স এখনো ২০ না পেরোনো এই বোলার। এক বল খেলে তাকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করলেও পরের বলেই দুর্দান্ত অফ কাটারে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান কক। শেষ উইকেট হিসেবে মুস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন বাভুমাকে।
আর লোয়ার অডার্রে ব্যাট করতে নামা ভারনন ফিল্যান্ডার, সিমন হামার্র এবং ডেল স্টেইনকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন।
বাংলাদেশ ও সাউথ আফ্রিকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে এর আগেও টাইগার ঘূর্ণির কবলে পড়ে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। প্রথম সেশনে অফস্পিনার মাহমুদুল্লাহর একমাত্র শিকারের পর দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত দুই উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান এবং তাইজুল ইসলাম।
শুরুটা খুব ভালো না হলেও পরে গুছিয়ে আনছিলেন সাউথ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। ৫৮ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর দলীয় ১৩৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট। একই রানে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ডিন এলগারের পর ফাফ ডু প্লেসিস ফিরে যান। এরপরই অভিষিক্ত মুস্তাফিজের চমক, চার বলে তিন উইকেট। তারপর জুবায়ের ভেলকি। আর সবশেষে আবারো মুস্তাফিজের শিকার।