সোমালি বংশোদ্ভূত এক মুসলিম নারীকে কোনো রূপ ব্যাখ্যা না দিয়েই প্লেন থেকে নামিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। শিকাগো এয়ারপোর্টের চরম বৈষম্যমূলক এই ঘটনাটিকে ভীতিজনক মন্তব্য করে তদন্তের আহবান জানিয়েছে আমেরিকান ইসলামিক সম্পর্ক পরিষদ (সিএআইআর)। মাথায় স্কার্ফ পরিহিত হাকিমা আব্দুল্লে পাশের যাত্রীর সাথে সিট পরিবর্তন করতে চাইলে এই বিদ্বেষমূলক ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইন্ডেপেন্ডেন্ট।
ঘটনার তদন্ত, এ্যায়ারলাইন্সটির আনুষ্ঠানিক ক্ষমাপ্রার্থনা ও ভাড়ার অর্থ ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছে সিএআইআর’এর ম্যারিল্যান্ড আউটরিচ ম্যানেজার।
নিরাপত্তার অজুহাতে এই শিকাগো এয়ারপোর্টেই গত মাসেও তিন সন্তানসহ এক দম্পত্তিকে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি প্লেন থেকে নেমে যেতে বলা হয়েছিলো। আর সর্বশেষ এই বিদ্বেষমূলক ঘটনার বিবরণে জানা যায় সিট পরিবর্তনে হাকিমার অনুরোধে পাশের যাত্রীটি সম্মত হলেও বিমানবালা আপত্তি জানায়। অনির্ধারিত আসনের জন্য এ্যায়ারলাইনটির নীতিমালা সত্ত্বেও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দিয়েই তাকে প্লেন থেকে নামিয়ে দিয়ে চরম অপমানকর পরিস্থিতির সম্মুখীন করা হয়।
পরে বাহির পথে পুলিশের প্রশ্নের জবাবেও নামিয়ে দেওয়ার কোনো কারণ ‘নেই’ জানিয়ে ‘সে অন্যান্য যাত্রীদের সাথে স্বস্তি বোধ করছে না’ উল্লেখ করে সেই বিমানবালা। পরবর্তীতে অন্য একটি ফ্লাইটে কয়েক ঘন্টা পর আব্দুল্লে ওয়াশিংটনের শহর সিটলে যেতে পারে।
নাজেহালের শিকার আব্দুল্লে ঘটনাটিতে খুবই দুঃখ পেয়েছিলো এবং সবার সামনেই কান্নাকাটি করছিলো বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানায় তার স্বামী আবুকার ফাদাউ। সবার সামনেই গ্লানিকর এই অভিজ্ঞতার ফলে আব্দুল্লে বিষণ্ণতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।
একে আইন ভঙ্গের সামিল মন্তব্য করে এই বছরেই এরকম ছয়টি অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেয়েছেন বলে জানান এই দম্পত্তির আইনজীবী উইলিয়াম বার্গেস। তবে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌছে দেওয়াই তাদের কাজ, নামিয়ে দেয়া নয় এমন একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এয়ারলাইনটির পক্ষ থেকে বলা হয় আব্দুল্লের সাথে উপযুক্ত আচরণই করা হয়েছে।