বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যটাস শেয়ার করেন। মুশফিক লিখেছেন, এরকম সময়ে আমার এভাবে আউট হওয়া ঠিক হয়নি, হয়তো আমার জন্যই দল হেরে গেছে। তার স্ট্যাটাস নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইন ‘দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন মুশফিক’ একটি শিরোনামে খবর প্রকাশ করে।
খবরটি চ্যানেল আই অনলাইন ফেসবুক পেজে শেয়ার দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ভক্তদের প্রতিক্রিয়া আসা শুরু হয়। অনেক ভক্তরা নায়ক হতে যাওয়া খলনায়ক মুশফিককে দুষছেন। কেউ আবার বাঙালি জাতিদের ভাগ্যকে দুষছেন।
রিজভী শাহরিয়ার নামে এক ভক্ত বলছেন, একটি উইনিং শট মারতে গিয়ে আউট হবার ঝুঁকি না নিয়ে দুই বলে দুইটা সিংগেল রান নিয়ে দল ও দেশকে জিতিয়ে দেয়া এই সাধারণ সমীকরণটা বুঝলোনা আমাদের বিখ্যাত দুই ব্যাটসম্যান?
মামুন তালুকদার বলেছেন, দুঃখিত হয়েই সব দায় এড়ানো যায় না প্রাপ্তন ক্যাপ্টেন, জাতি অনেক কিছু আশা করে আপনাদের কাছে।
আব্দুর রহিম সালমান এক ভক্ত বলেন, আপনাদের মাফ করা যায় না। আপনাদের ভুলে আজ ১৬ কোটি মানুষ ব্যাথা পেয়েছে। ৩ বলে ২ রান না নিতে পারলে দলে আছেন কেন?
জুবায়ের আহমেদ নামে এক ভক্ত বলেছেন, ১৬ কোটি মানুষের ঘুম হারাম করে ওনি দু:খ প্রকাশ করলে হবে? সারা বছর তো এমনিতে খারাপ খেলে এসেছিলো আর এমন দিনে ওনি একটা রান করতে পারলেন না।
তবে অনেকে আবার ভাগ্যের ওপর এই ম্যাচটিকে সপে দিয়েছেন।
জবরুল নামে এক ভক্ত বলেছেন, যখন ৩ বলে ২ রান দরকার তখন ভাবিনি যে আমরা হেরে যাবো। যখন ২ বলে ২ রান দরকার তখন ভাবিনি যে আমরা হেরে যাবো। যখন ১ বলে ২ রান দরকার তখনও ভাবিনি যে আমরা হেরে যাবো। তখন শুধু ভেবেছিলাম আর কিছু পারি আর নাই বা পারি ম্যাচটি যেনো ড্র করতে পারবো। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু। উল্টো ৩ বলে ৩ উইকেট। আসলে সত্যি কথা বলতে কি আমাদের কপালটাই খারাপ। আল্লাহ কি আমাদের বাঙালি জাতিকে শুধু দুঃখ কষ্ট দিয়েই সৃষ্টি করেছেন।
নজরুল ইসলাম স্বপন বলেন, চিৎকার করে কাঁদতেও পারলামনা আর হাসতেও পারলাম না। এটাই কি ছিলো আমাদের কপালে।
অনেক ভক্ত আবার সবকিছু পিঁছে ফেলে টাইগার বাহিনীদের এগিয়ে যাওয়ার শুভকামনা জানিয়েছেন। তাদের কাছে হারলে বাংলাদেশ, জিতলেও বাংলাদেশ।
মাহি নামে এক ক্রিকেট ভক্ত বলেছে, দুইজন বিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকতে ও হেরে যাওয়ায় অনেক খারাপ লাগেছে, দু’টা শট রান নিয়েই জিততে পারতো, তবুও বলবো হারলেও বাংলাদেশ, জিতলেও বাংলাদেশ।
সুজন মিয়া নামে এক ভক্ত বলছেন, মুশফিক বা রিয়াদ বড় শট হয়তো না খেললেও পারতো। কারণ রান বল প্রতিই ছিলো তবে তারাই আমাদের চেয়ে ভালো বুঝে, হার-জিত থাকবে তবে খেলোয়ারদের দোষ বা গালি দেওয়া টা উচিত নয় কারণ তারা জিততে চেষ্টার কার্পন্য করে না, হারলেও ভারতীয় দল বা সমর্থক এই ম্যাচ সারা জীবন মনে রাখবে।
সৈকত রহমান নামে একভক্ত বলেছেন, শেষ ওভারে যখন ১১ রান দরকার অনেকেই বলেছিলো পারবো না আমি গর্ব করে বলেছিলাম মাঠে কারা তোমরা কি ভুলে গেছো বাংলাদেশের দুই কিংবদন্তি ম্যাচ আমরা জিতবো সিউর থাকো। হলো না হয়নি দুঃখ শুধু একটাই তোমাদের কাছ থেকে এটা আশা করিনি।
পর পর ২ টা ৪ মারতেই তখন খুশি হওয়ার চাইতে আমার ভয়টা বেশি কাজ করেছিলো কারণ আমি মোটামুটি জানি আমাদের প্লেয়ার এর মানসিকতায় পর পর দুইটা চার মারতে চায়.,যাই হোক অন্তত যাদের সাথে খেলেছো সেই কোহলিকে দেখে না হয় শিখো। আমরা সব সময়ই আমাদের টাইগারদের পাশে আছি থাকবো, ভুল গুলি শুধরে নিয়ে সামনের দিনগুলিতে আমাদের এর চেয়ে ও আনন্দের জয় এনে দিবে সেটাই প্রত্যাশা…অল দা বেস্ট।
কোনো ব্যাপার না বলে পুরো টাইগাইগার বাহিনীকে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস দিয়েছেন দুর্জয় রায় নামে এক ক্রিকেট ভক্ত। আরেক ভক্ত শাহিন মিয়া বলেছেন, ভাই মন খারাপ করো না।
গতকাল ভারতের কাছের ১ রানের পরাজিত হন মাশিরাফি বাহিনী। আর পুরো ম্যাচটিতে বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনা থাকলেও শেষ ওভারে যখন মুশফিকুর রহিমের চারে জয়ের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যায় শেষ তিন বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো মাত্র ২ রান।
সেখানে তুলে মারতে গিয়ে একরকম উইকেট বিলিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। আর শেষ বলে শুভাগতও রান নিতে ব্যর্থ হলে ১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগারা।