মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিই গড়ে দিলো বড় ব্যবধান। অধিনায়কের ব্যাট আবাহনীকে এনে দিয়েছিল ২৮৯ রানের লড়াকু সংগ্রহ। পরে মেহেদী হাসান রানা ও তাইজুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৮১ রানে হারিয়েছে আকাশি-নীল শিবির।
৮ বল হাতে রেখেই পারটেক্স গুটিয়ে যায় ২০৮ রানে। নাজমুল হোসেন মিলন ৫৩, তাসামুল হক ৪৩ ও ধিমান ঘোষ করেন ৩৬ রান।
আবাহনী-২৮৯/৭ (৫০ ওভার), পারটেক্স-২০৮/১০ (৪৮.৪ ওভার)
আবাহনী পেসার মেহেদী একাই নেন চার উইকেট। স্পিনার তাইজুল ইসলাম নিয়েছেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মো: সাইফউদ্দিন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, আরাফাত সানি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
রোববারই মাঠে গড়ায় প্রিমিয়ার লিগ। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। আবাহনীর জার্সিতে প্রথমবার নেমেই খেলেন ১২৪ বলে ১২৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকতে থাকে আবাহনী। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ। তিনে নামা মুশফিক লড়াই করেন একাই। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা পেয়ে যায় ২৮৯ রানের বড় সংগ্রহ।
একে একে নাজমুল হোসেন শান্ত (১৫), আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (১৪), আফিফ হোসেন ধ্রুব (৩) সাজঘরে ফিরলে আবাহনীর স্কোর হয়ে যায় ৬৭/৫। তবে ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান অধিনায়ক মুশফিক। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে ১৬০ রানের জুটি গড়েন।
৪ ছক্কা ও ১১ চারে মুশফিক ১২৭ রানের ইনিংস খেলে মুশফিক যখন আউট হন ততক্ষণে আবাহনী চলে যায় মজবুত অবস্থানে। ৭৪ বলে ৬১ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক।
শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সাইফউদ্দিন ও তাইজুল। অষ্টম উইকেট জুটিতে শেষ ২৮ বলে তারা অবিচ্ছিন্ন থেকে তোলেন ৫৭ রান। সাইফউদ্দিন ১৫ বলে ৫ ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তাইজুল একটি করে ছয়-চারে ১৪ বলে ১৭ রান করে থাকেন অপরাজিত।
পারটেক্স পেসার জয়নুল ইসলাম নেন তিনটি উইকেট। তাসামুল হক দুটি, রনি হোসেন ও শাহবাজ চৌহান নেন একটি করে উইকেট।