প্রথম ইনিংসে ১৮ রানের জন্য শতকের দেখা পাননি। তাতে কোনো আক্ষেপ থাকলে সেটা দ্বিতীয় ইনিংসে পূরণ করে ছেড়েছেন মুমিনুল হক! ইয়াসির আলী ও অধিনায়কের জোড়া শতকের পাশাপাশি নাঈম ইসলামের ঘূর্ণিতে আসা ৮ উইকেটে ভর করে একদিন হাতে রেখেই বিসিএলের শেষ রাউন্ডে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ইস্ট জোন।
রাজশাহীতে ৩ উইকেটে ২৫৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে সেন্ট্রাল জোনকে ৪৫৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিল ইস্ট। জবাবে তৃতীয় দিনেই ১৩৪ রানে অলআউট হয়ে ইস্টকে ৩২২ রানের বিশাল জয় তুলে দিয়েছে সেন্ট্রাল।
প্রথম ইনিংসে সেন্ট্রালকে ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও নিজেরাই দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাটিংয়ে নেমে পড়ে ইস্টরা। মুমিনুল ও ইয়াসিরের দুজনে শতকে ভর করে প্রথম ইনিংসে ২০১ রানের লিডের সঙ্গে আরও ২৫৪ রান যোগ করে দলটি।
মুমিনুল-ইয়াসির দুজনেই খেলেছেন ওয়ানডে স্টাইলে। ১০৬ বলে ৯ চারের সঙ্গে এক ছক্কায় মুমিনুল ১০০ রান করে আউট হলেও ইয়াসিরকে আউট করতে পারেননি সেন্ট্রালের বোলাররা। ১০ চারের সঙ্গে ২ ছয়ে ১০৯ বল খেলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির।
রানপাহাড় ডিঙাতে গিয়ে স্পিনার নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে হাবুডুবু খেয়ে ম্যাচেই ফেরা হয়নি সেন্ট্রালের। মাত্র ৪৭ রান খরচ করে প্রতিপক্ষের ৮ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান কদিন আগে টেস্ট অভিষেক হওয়া এ ডানহাতি অফস্পিনার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অভিষিক্ত নাঈমের ফার্স্টক্লাস ক্রিকেটে এটিই ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। বাকি দুই উইকেট যোগ হয়েছে আবু জায়েদ রাহির নামের পাশে।
চট্টগ্রামের আরেক ম্যাচে ইনিংস পরাজয় এড়াতে লড়ছে নর্থ জোন। এনামুল হকের ১৮০ ও আল-আমিনের ১২৮ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৫৪১ রানে অলআউট হয় সাউথ। ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ১৮৬ রান করেছে নর্থ।
ইনিংস হার এড়াতে হলে শেষদিনে আরও ৬২ রান করতে হবে জহুরুল ইসলামের দলকে। হাতে আছে কেবল ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ২৯৩ রান করেছিল নর্থরা।