বিকেএসপি থেকে: প্রিমিয়ার লিগ মানেই মুমিনুল হকের ব্যাটে রানের ফোয়ারা। চলতি লিগে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটা খেলে ফেললেন চতুর্থ রাউন্ডেই। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের এই ব্যাটসম্যান বুধবার খেলেছেন ১৫২ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। তার সঙ্গে বড় জুটি গড়া নাসির হোসেন ফিরেছেন ফিফটি করে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রাইম দোলেশ্বরের বোলারদের একের পর এক বাউন্ডারি মেরে শুরু থেকেই চাপে রাখেন মুমিনুল। দেড়শ পেরোনো ইনিংসটি খেলতে বাঁহাতি তারকা খরচ করেন মাত্র ১২০ বল। ১৬টি চার ও ছয়টি বিশাল ছক্কার মারে সাজানো ইনিংসটি তার।
মুমিনুল ফিফটি পূর্ণ করেন ৫৪ বলে। সেঞ্চুরি ৮৯ বলে। তারপর আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। দ্বিতীয় পঞ্চাশ রান পেরোতে যেখানে খেলেছেন ৩৫ বল। সেখানে তৃতীয় ৫০ রান করেছেন মাত্র ২৮ বলে।
ইনিংসটাকে আরও বড় করতে পারতেন মুমিনুল। আউট হন ৪২তম ওভারের সময়। ক্লান্তির কারণে মেরে খেলতে গিয়ে মিড উেইকেটে ফরহাদ রেজার বলে আব্দুল মজিদের হাতে ধরা পড়েন।
আগের রাতে প্রচণ্ড ঝড় হওয়ায় মাঠ সকালে কিছুটা ভেজা ছিল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে গাজী-শিবির। সেখান থেকে মুমিনুল ও নাসির ১৫৩ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান দলকে।
৬৪ রান করে আরাফাত সানির বলে নাসির এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে দারুন এই জুটিটি। ৭ চার ও ১ ছয়ে ৭৬ বলে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন নাসির। তার বিদায়ের পর ভারতীয় ক্রিকেটার পারভেজ রসূলের সঙ্গে আরেকটি বড় জুটি গড়েন মুমিনুল। সেই ১০১ রানের জুটি ভাঙে মুমিনুলের বিদায়ে।
মুমিনুলের সাজঘরে ফেরার পরও বেশ কিছুক্ষণ উিইকেটে ছিলেন পারভেজ। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৫৩ রান করে। যেভাবে রানের চাকা এগিয়ে যাচ্ছিল শেষ দিকে গাজীর ক্রিকেটাররা সেভাবে রান তুলতে পারেনি। টেলে এন্ডারদের ব্যর্থতায় ৪৮.২ ওভারে ৩০৭ রানে অলআউট হয় গাজী।
ফরহাদ রেজা চারটি, দেলোয়ার হোসেন নেন তিনটি করে উইকেট। মোহাম্মদ এনামুল ও আরাফাত সানি নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
পাশের চার নম্বর মাঠে রূপগঞ্জ-কলাবাগান ম্যাচটি দেরিতে শুরু হয়েছে। মাঠ ভেজা থাকায় ২৭ ওভারে নেমে এসেছে ম্যাচটি।