চট্টগ্রাম থেকে: ‘নির্দিষ্ট কোন কারণ ছিল না। আপনারা যেভাবে মনে করছেন, ওরকম কিছু না। চ্যালেঞ্জটা নিজের সঙ্গে ছিল। অনেকদিন ১০০ করতে পারছিলাম না। এটা করতে পারায় অনেক ভাল লেগেছে।’
চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমদিনে সেঞ্চুরির পর খ্যাপাটে উদযাপন নিয়ে মুমিনুল হকের সরলসোজা ব্যাখ্যা। প্রথমদিন তাকে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়দিনের খেলা শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এলেন দলের প্রতিনিধি হয়ে। পরে উত্তরে কল্পনাশক্তির লাগাম টেনে ধরলেন ওরকম উদযাপনের সাদামাটা ব্যাখ্যায়!
মুমিনুল না বললেও বুঝে নিতে কষ্ট হয় না। সাবেক কোচ হাথুরুসিংহের আমলে নানামুখী প্রতিবন্ধকতায় পড়েছিলেন দেশের ইতিহাসে সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। তার প্রতি হাথুরুর উপেক্ষা এতটাই ছিল যে ‘বাংলার ব্র্যাডম্যান’ স্বীকৃতি পাওয়া মুমিনুলকে স্কোয়াড থেকেই সরিয়ে দেয়া হয়েছিল, ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে। তার আগে ছেঁটে ফেলা হয় ওয়ানডে দল থেকেও। মুমিনুলের চ্যালেঞ্জে যে কাউকে দেখিয়ে দেয়ার মত কিছু একটা ছিল, ওই খ্যাপাটে উদযাপন হয়ত তারই প্রতিক্রিয়া।
কেননা সাগরিকার এ মাঠে আগেও তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল। কখনও খুব উচ্ছ্বসিত উদযাপন দেখা যায়নি। অতি-উচ্ছ্বাস তার স্বভাবে নেইও। বড় বড় কীর্তি গড়েও থেকেছেন নির্লিপ্ত। কিন্তু হাথুরুর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেতেই বাঁধনহারা উদযাপন! মুখে হাসি ছিল না, ছিল খ্যাপাটেভাব। মুমিনুল স্বীকার না করলেও তার জমাট বেধে থাকা মনের কথা বোঝার জন্য মনস্তাত্ত্বিকও হওয়া লাগে না!
উপেক্ষার জবাব ষোলোআনা হত যদি ডাবল সেঞ্চুরিটা পেতেন। আগের দিন ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকা এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় দিনে যোগ করতে পেরেছেন আর ১ রান। তারপরও আক্ষেপ নেই বলেই আশ্বস্ত করছেন।
‘আমি অবশ্যই সন্তুষ্ট। যখনই একটা বড় ইনিংস খেলব, যদি বলি সন্তুষ্ট নই তাহলে ভুল বলা হবে। যতটুকু খেলেছি, আমার কাছে ভাল লেগেছে। যতটুকু হয়েছে, ভাল হয়েছে। হয়ত আরেকটা সেশন খেলতে পারলে ভাল লাগত।’