এক টুকরা চকলেট মুখে গিয়ে গলে গেলে যেই প্রশান্তি পাওয়া যায়, তা যেন আর কোনো কিছুর মাঝেই নেই। মনের অজান্তেই চোখ বুজে ফেলেন তৃপ্তিতে। তখন মনে হয়, চকলেটের চাইতে ভালো আর কোনো কিছুই হতে পারেনা। রঙিন মোড়কে বিক্রি করা এই চকলেটই কিন্তু একসময় আদান প্রদান করা হতো মুদ্রা হিসেবে।
নৃতত্ববিদদের মতে, খ্রিষ্টপূর্ব ১৯০০ অব্দে মেক্সিকোতে প্রথম চকলেট পাওয়া যায়। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় যে মেসোআমেরিকায় শুরু হয় চকলেটের ইতিহাস। প্রাচীন আমেরিকার অন্যতম উন্নত সভ্যতা হলো অ্যাজটেক সভ্যতা। মেক্সিকোর অ্যাজটেক জাতি গড়ে তুলেছিল এই সভ্যতা। মেসোআমেরিকায় একসময় অ্যাজটেকরাই আধিপত্য শুরু করলো। তারা উৎপাদন করতো নানা রকমের শস্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। অন্যদিকে মায়া জনগোষ্ঠী কিছুটা পিছিয়ে থাকায় তারা অ্যাজটেকদের থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতো। মায়া জনগোষ্ঠী আবার প্রচুর কোকো বিন উৎপাদন করতো।
অ্যাজটেকরা বিশ্বাস করতো চকলেট হলো জ্ঞানের দেবতা কুয়েটজালকোয়াটল এর উপহার। তারা খুব ভালোবাসতো চকলেট। কিন্তু তাদের এলাকায় কোকো উৎপাদিত হতো না। তাই মায়া জনগোষ্ঠীর কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং শস্য বিক্রির সময় মুদ্রার বিকল্প হিসেবে তারা কোকো বিন নিত। এভাবে কোকো বিন আদান প্রদান করে ব্যবসা চলেছে বহুবছর ধরে।
অবশ্য এখনও কিন্তু চকলেটের বিনিময় অনেক কিছুই পাওয়া সম্ভব। যেমন ধরুন, চকলেট দিয়ে কিন্তু যে কারও মন জয় করে নিতে পারবেন সহজেই। আবার কারও রাগ ভাঙ্গানোও খুব সোজা চকলেটের বিনিময়ে। আর শিশুদের কাছ থেকে সহজেই আদর নিতে পারবেন হাতে চকলেট ধরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে। নিজের মনটা ভালো করতেও এক টুকরো চকলেট মুখে পুরে দিতে পারেন। কারণ চকলেট মানুষের মস্তিষ্কে আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। টাইমস অব ইন্ডিয়া