শরণার্থী-অভিবাসন প্রত্যাশীদের থেকে ক্রোয়েশিয়াও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
ক্রোয়েশিয়া সরকার বলেছে, তারা অভিবাসীদের ‘পছন্দের স্থান’ হতে চান না। তাই অভিবাসীদের আরও উত্তরে হাঙ্গেরি ও স্লোভেনিয়ায় পাঠানো হচ্ছে।
এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হাঙ্গেরি ও স্লোভেনিয়া বলেছে, ক্রোয়েশিয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের অপরাধে জড়াতে উস্কানি দিচ্ছে।
সার্বিয়ার সাথে হাঙ্গেরি সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পর বাধ্য হয়ে ক্রোয়েশিয়ার পথ ধরেছিলেন অভিবাসীরা। প্রথমে প্রবেশে বাধা না দিলেও, সে নীতি থেকে সরে এসেছে ক্রোয়েশিয়া।
যারা এরই মধ্যে ক্রোয়েশিয়ায় ঢুকেছেন, তাদের পাঠানো হচ্ছে উত্তরে-আবারো সেই হাঙ্গেরি এবং স্লোভেনিয়ার দিকে।
ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জোরান মিলানোভিচ বলেছেন, হাঙ্গেরি কাঁটাতার দিয়ে সার্বিয়ার সাথে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে- এটা যেমন কোনো সমাধান নয়, তেমনি হাজারো অভিবাসী ক্রোয়েশিয়াতে থাকবে সেটাও কোনো সমাধান নয়।
ক্রোয়েশিয়ার নীতি পরিবর্তনকে ভালোভাবে নেয়নি হাঙ্গেরি ও স্লোভেনিয়া। দেশ দু’টির আশঙ্কা, এতে বড় অপরাধে জড়াতে পারে অভিবাসীরা।
শুক্রবার ২০টি বাসে অভিবাসীরা হাঙ্গেরি সীমান্তে এলে তাদের ঢুকতে দেয়া হয়। তবে, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান জানিয়েছেন, সার্বিয়া সীমান্তের মতোই ক্রোয়েশিয়া সীমান্তও কাঁটাতার দিয়ে আটকে দেয়া হচ্ছে।
তার দাবি, অভিবাসী ইস্যুতে ক্রোয়েশিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
হাঙ্গেরি পুলিশ জানিয়েছে, আগেই প্রবেশ করা অভিবাসীদের অনেককে অস্ট্রিয়া সীমান্তের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অস্ট্রিয়া জানিয়েছে, অভিবাসীদের ঢুকতে দেয়ার বিষয়ে হাঙ্গেরির সাথে তাদের কোনো সমঝোতা হয়নি। তাই অস্ট্রিয়াও অভিবাসীদের ঢুকতে দিতে বাধ্য নয়।