গণভোটের মাধ্যমে ব্রিটিশদের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্তে মুখ থুবড়ে পড়েছে অখণ্ড ইউরোপের স্বপ্ন। ব্রিটেনের ওই সিদ্ধান্তের পর এখন স্কটল্যান্ডও স্বাধীন হতে আইন প্রণনয়ন করবে বলে জানিয়েছেন সে দেশটির নেতারা। ইইউ থেকে বেড়িয়ে যেতে আরও সদস্য দেশ গণভোট দিতে পারে, মিলছে এমন আভাসও।
ব্রিটিশদের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের ঘটনায় ইউরোপের অন্যান্য সদস্য দেশের কট্টর-ডানপন্থি দলগুলো এখন নিজ নিজ দেশেও একই রকম ভোট দাবি করছে। ব্রিটেনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ফ্রান্সে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে ডানপন্থি দল ন্যাশনাল ফ্রন্ট।
পুরো যুক্তরাজ্যের ভোটে ‘লিভের’ পক্ষে রায় এলেও স্কটল্যান্ডের দুই তৃতীয়াংশ নাগরিক ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দেয়। স্কটল্যান্ডের নেতা নিকোলা স্টুর্জেন স্বাধীনতার প্রশ্নে নতুন করে গণভোটের সম্ভাবনার কথা বলায় যুক্তরাজ্যই এখন ভাঙনের মুখে।
নেদারল্যান্ডসের ফ্রিডম পার্টির নেতা গ্রিট ওয়াইল্ডারস এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এখন সময় ডাচ গণভোটের। দেশটিতে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে ৫৪ শতাংশ মানুষই ইইউতে থাকা না থাকা প্রশ্নে গণভোটের পক্ষে। সুইডেনের অভিবাসন বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা টুইটারে লিখেছেন, আমরা এখন সুয়েক্সিটের অপেক্ষায়।
জার্মানির ইউরোবিরোধী এএফডি পার্টি ব্রিটিশদের গণভোটকে তাদের জন্য ‘স্বাধীনতা দিবস’ বলেছে। রাজনৈতিক জোট হিসাবে ইইউ ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে গণভোটের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহারের মাধ্যমে চার দশকের সর্ম্পকের অবসান হয়। ইইউ থেকে ব্রিটিশদের বের হয়ে যাওয়াকে অখণ্ড ইউরোপের জন্য অশনি সংকেত মনে করছে অনেকেই। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব অর্থনীতিতেও। সূচকের দরপতন হয়েছে, কমেছে ব্রিটিশ পাউন্ডের দাম।