টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানমের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল বিচারিক আদালতে নেয়া হয়। পরে সোয়া ১১টায় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার সাক্ষী সরোয়ার হোসেন ও শফিকুল হক শামীমকে হাজির করে। পরে এই দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা দুপুর দেড়টায় শেষ হয়।
এসময় সাংসদ রানার জামিনের আবেদন করা হয়। জামিন শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী, মাহবুব আহম্মদ, টাঙ্গাইলের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাকী মিয়া, আরফান আলী মোল্লাসহ অনান্য আইনজীবী।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধীতা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম খান। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামসহ অনান্য আইনজীবী। পরে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ১৮ অক্টোবর মামলার পরবর্তী সাক্ষির জন্য দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাদির সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
এই মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামী রয়েছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।