মুক্তিযোদ্ধা হতে ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর বয়স ন্যূনতম ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করে জারি করা সরকারের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপিল বিভাগে বহাল রইল।
এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ ‘নো অর্ডারের’ আদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
রোববার আদালতে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন ও ব্যারিস্টার ওমর সাদাত। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আজকের এ ‘নো অর্ডারের’ আদেশের ফলে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রইল বলে জানান রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর সাদাত।
এ আইনজীবী আরো জানান, ‘আপিল বিভাগ আজ ‘নো অর্ডারের’ আদেশের সময় রাষ্ট্রপক্ষকে বলেছেন: এ বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আসলে আদালত ‘আর্জেন্ট বেসিসে’ শুনবেন।’
এর আগে মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩টি গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এসব গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে ১৩ বছর আর এবং সর্বশেষ গেজেটটিতে ১২ বছর ৬ মাস বয়স নির্ধারণ করা হয়।
পরে এসব গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ ১৫ টি রিট করা হয়। সেই রিটের পর জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ১৯ মে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
ওই রায়ে মুক্তিযোদ্ধা হতে বয়স ন্যূনতম ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করে জারি করা গেজেট ও আইনের ধারা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এ রায়ে হাইকোর্ট বলেন: ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যাবে না।’