মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব খানের আত্নহত্যার ঘটনায় সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অবশেষে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব বর্তেছিলো মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ মিজানুর রহমানের উপর। সেই কাজ শেষ করে তিনি রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ঘেঁটে, চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ মিজানুর রহমান। এরপর ওইসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই গত বৃহস্পতিবার রিপোর্ট পেশ করেছেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন: আমি গত বৃহস্পতিবার সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে রিপোর্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে পেশ করেছি। তারা রিপোর্ট পড়ে দেখবেন। তারপর কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত তারা নেবেন।
‘আমার কাজ এ পর্যন্তই শেষ,’ বলে তথ্য-উপাত্তের বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
যোগাযোগ করা হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমরা রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। এখন আরো উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হচ্ছে।
তবে এই বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মন্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব খান তার সুইসাইড নোটে লিখে যান, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান তাকে যে অপমান করেছেন সেটা সহ্য করতে না পারার কারণেই তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন।
অভিযোগ নাকচ করে সচিব হান্নান অবশ্য বলেছেন, তিনি ওই মুক্তিযোদ্ধাকে চিনতেনই না।
আইয়ূব খানের আত্মহত্যার ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা তদন্ত করছে পুলিশ।