মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হওয়াকে স্বাধীন বাংলাদেশের ‘নতুন বিজয়’ মনে করেন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বার্ষিক আয়োজন ‘মুক্তির উৎসব’-এ বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে বাদ রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হওয়ার আহ্বানও জানান মুক্তিযোদ্ধারা।
উৎসব আমেজে মুখরিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। ভাষার মাসে নাচ-গান-কবিতায় বাংলা ও বাঙালির ‘মুক্তির উৎসব’।
খুদে শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় যোগ দিয়েছেন একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধারা। শুনিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের কথা।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দরকার হলে আর একবার মুক্তিযুদ্ধ করবো। ৭১ সালে যেমন তাদের পতন ঘটিয়েছি এবারও সেভাবে ঘটাবো। আগামী দিনে তোমরাই হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার ছেলে যারা এদেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সাধুবাদ জানিয়ে বক্তারা বাংলাদেশ বিরোধীদের বিরুদ্ধেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, বাংলাদেশ তখনই এগিয়ে গেছে যখন আমাদের ছেলেমেয়েরা, শিক্ষার্থীরা এবং সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকেছে। একটা একটা যুদ্ধাপরাধী ধরে তাদের বিচার করছি। তারা যে অন্যায় অপরাধ করেছে তার শাস্তি দিচ্ছি। এখন আমি ছেলেমেয়েদের বলি, দেখেছো, যতো দেরিই হোক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, দেশটাকে পরিস্কার করে দিচ্ছে। পবিত্র করে দিচ্ছে, তোমাদের জন্য।
উৎসবে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে শপথ পড়ান কুষ্টিয়ার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম।
দিনভর আয়োজনে শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পরাও।