চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার আইনের খসড়া তৈরি চলছে

মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, তার মন্ত্রনালয়ে এই আইনের খসড়া তৈরির কাজ চলছে। একই সঙ্গে জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধের দায়ে কোনো সংগঠনের বিচারের জন্য তৈরি করা আইনের খসড়া ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রিসভায় উঠবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের বিতর্কিত মন্তব্যের পর বিভিন্ন মহল থেকে মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার আইন প্রনয়নের দাবি উঠে। এ দাবিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা বৈঠক করেন আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সঙ্গে। কমিটির নেতারা আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সরকারকে সহযোগিতা করার কথাও বলেন।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা বলছিলাম যে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যে কেউ যখন-তখন যেকোনো কথা বলছে। যার কারণে ভিত্তিমূলে আঘাত লাগছে। বিশেষ করে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি একথা বলা হলো স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে চ্যালেঞ্জ করা।এটা বাংলাদেশের অস্তিত্বকেও চ্যালেঞ্জ করে।’

তিনি আরো বলেন, এসব কথা বারবার বলা হচ্ছে। এজন্য আমরা সরকারকে বলেছি এখন সময় এসেছে যারা এই ধরনের অপরাধ করছে তাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার আইন অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কেউ যাতে আর বিতর্কিত মন্তব্য করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিস্কার করে আইন মন্ত্রী বলেন, আজকের পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে এই রকম একটা আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমরা ফুটবল খেলতে দিতে পারি না।বিশেষ করে এমন একজন মহিলার কথা বলবো যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিলেন সেটা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। সেই ক্ষেত্রে আইনটা আজকে প্রয়োজন রয়েছে এবং এটার কাজ নিয়ে আমরা দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, এই আইন সংগঠনের বিচারের ব্যবস্থা  রেখেই করা হচ্ছে। আইসিটি অ্যাক্ট মেনেই এটা করা হচ্ছে। এতে জামায়াত নিষিদ্ধ হবে কি হবে না সেটা আদালত বলবেন।

আনিসুল হক বলেন সাক্ষী সুরক্ষা আইন নিয়ে সচেষ্ট রয়েছে সরকার। খুব শিগরিরই এটি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলেও জানান তিনি।