চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার গঠনের ঐতিহাসিক দিন

ঐতিহাসিক ১০ এপ্রিল আজ। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন এ দিনে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। এদিনই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুক্তিবাহিনী সংগঠন ও সমন্বয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় এবং নয় মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে এই বিপ্লবী  সরকারই।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। ২৫ মার্চ রাতে মুক্তিকামী বাঙালীদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। সে রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতারের আগে ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বাঙালি শুরু করে প্রতিরোধ। শুরু হয় যুদ্ধ।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, তৎকালিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমদ সে রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে ৩১ মার্চ ব্যরিস্টার আমিরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে যান ভারতে। এরপর তিনি দিল্লীতে গিয়ে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গে। এরপরই শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠনের প্রক্রিয়া।

ব্যারিস্টার আমির উল  ইসলাম বলেন, আমরা সরকার গঠন করবো না যুদ্ধ করবো এটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিলো। সরকার তো বঙ্গবন্ধুই তৈরি করে রেখে গেছেন। আমরা বৈধ সরকার এবং কার্যকরী সরকার। অতএব সেদিক থেকে সরকার গঠন করার অধিকার আমাদের আছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, খোন্দকার মোস্তাক আহমেদকে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য করে ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের সরকার গঠন করা হয়। শেষ হয় স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র তৈরির কাজ।

ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম বলেন, ঘোষণাপত্রে সরকার সম্পর্কে দুইটি মৌলিক কথা ছিলো। ন্যায়ানুগ সরকার এবং নিয়মতান্ত্রিক সরকার।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও তা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেনে যাওয়ায় ১৭ এপ্রিল বর্তমানের মুজিবনগর তখনকার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হয়।