মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের উপর ৩০ আগস্ট রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে যে দণ্ড দেওয়া হয়েছে তা বহাল থাকবে বলে তার আশা। আসামিপক্ষ বলেছে, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের মক্কেল খালাস পাবে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে চলতি বছরের ৬ জুন রায় প্রকাশের পর ১৯ জুন রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করেন মীর কাসেম আলী। দু’বার সময় নেয়ার পর ৬৬ কার্যদিবসে রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। শুনানির দ্বিতীয় দিনে আসামিপক্ষ তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যে সাক্ষ্য প্রমাণ আছে, এসবের ভিত্তিতে তার অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। তারপরও যদি আপনারা মনে করেন যে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের নিবেদন থাকবে যে যেহেতু মীর কাসেম আলী এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত হিসেবে প্রমাণ হয়নি, সেক্ষেত্রে তাকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া আইনগতভাবে উচিত হবে না।
আসামিপক্ষের যুক্তি একে খণ্ডন করে পাল্টা জবাব দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, জসিমকে যে রুমে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হলো সেই রুমে শফিউল আলম ছিলেন। শফিউল আলম পিডব্লিউ২ কে কাসেম আলীর কথা বলেছে। অন্যান্য সাক্ষী যারা ওখানে অত্যাচারিত হয়েছে প্রত্যেকেই মীর কাসেম আলীর কথা বলেছে। কাজেই সার্বিক দিক বিবেচনা করে তাকে যে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে সেটা সঠিক ছিলো, এটাই আমার বক্তব্য ছিলো।
শুনানির সময় মীর কাসেম আলীর মামলা পরিচালনায় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরদের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধান বিচারপতি। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ১২ নম্বর চার্জেও মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড হতো যদি প্রসিকিউশন ঠিকমতো মামলা পরিচালনা করতো। আজ আমার বক্তব্য শুরু করার আগেই আদালত বলেছেন, আদালত তাদের রায়ে কয়েকটা কমেন্ট করেছেন। প্রসিকিউটরের কয়েকজন আইনজীবীকে কেন শো আনা হয়নি। আমি বলেছি আমি অবশ্যই তাদের সরকারের গোচরে আনবো।
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, তারা আইনের মধ্যে থেকে অভিযোগ এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে রায় দেন।