শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত এবং তাদের ঝরে পড়া রোধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে শনিবার উদযাপিত হবে মীনা দিবস।
দেশের বিদ্যমান বিভিন্ন ইস্যু, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ বাল্য বিবাহ, পরিবারে অসম খাদ্য বন্টন, শিশুশ্রম রোধ ইত্যাদি বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে মীনা চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য “কন্যা শিশু বিয়ে দিয়ে করো নাকো ভুল, প্রত্যেকটি শিশু যেন এক একটি ফুল”।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে শনিবার সকালে আগারগাঁওয়ের এলজিইডি মিলনায়তনের লেভেল-২ এ অনুষ্ঠিত হবে মীনা দিবসের অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণাশিক্ষা মন্ত্রী মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেছবা উল আলম এবং ইউনিসেফের বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বেগবিদার।
দ্বিতীয় পর্বে মীনা কার্টুন প্রদর্শনী ছাড়াও এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন সংসদ সদস্য ও সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম, তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সালমা খাতুন।
তৃতীয় পর্বে উপস্থিত শিশুদের অংশগ্রহণে মীনা বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও রয়েছে পাপেট ও মাপেট শো এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর।
জনপ্রিয় কার্টুন মীনা নামের বালিকা চরিত্রটি মেয়ে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্ছার। ১৯৯১ সালে একজন ১০ বছর বয়সী বালিকা হিসেবে মীনা চরিত্রের সৃষ্টি। সমাজের কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, বিভেদ ও বৈষম্য দূর করে সমৃদ্ধ জাতি গঠনের বার্তাসমূহ বিনোদনমূলক কার্টুন চরিত্র মীনার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।
মীনা চরিত্রটি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল তথা দক্ষিণ এশিয়ার মেয়ে শিশুদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি বালিকা চরিত্র। ইতোমধ্যে অনেক বিষয়ে মীনা কার্টুন পর্ব ও মীনা বই তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে চরিত্রটি শিশু ছাড়াও সব বয়সের মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে।
১৯৯৮ সাল থেকে দেশব্যাপী মীনা দিবস উদযাপন করছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর উদযাপিত হলেও ঈদের ছুটির কারণে পিছিয়ে এবার ১০ অক্টোবর দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও মীনা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়েে র্যালি, মীনা বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, যেমন খুশি তেমন সাজো ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।