মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় গুলিবিদ্ধ এক নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে বিক্ষোভের সময়ে তিনি আহত হন। এদিন বিক্ষোভকারীদের দমাতে রাবার বুলেট, জলকামান ও লাইভ রাউন্ড ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করতে দেখা যায় পুলিশকে।
ডানপন্থি দলগুলো এবং কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই নারীর মাথায় গুলি লেগেছে। পুলিশের শক্তিপ্রয়োগে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। আরেকজন বিক্ষোভকারীর বুকে গুলির আঘাত পেয়েছে বলেও জানা গেছে।
গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে এসেছে। বড় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা ও রাত্রিকালীন কারফিউ থাকা সত্ত্বেও তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।
বুধবার সকালেও সরকারি কর্মচারীদের একটি বড় দল নেপিডোতে একত্রিত হয়েছে বিক্ষোভ করার জন্য।
সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
তার পরপরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।
তবে সেনাবাহিনীর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রতিবাদ শুরু করেছে মিয়ানমারের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং নাগরিকদের বড় একটা অংশ।
অভ্যুত্থানের পর থেকে সু চি কোথায় আছেন তা এখনও পরিস্কার করেনি দেশটির সেনাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি অভিযোগ; আমদানি-রপ্তানি আইন ভঙ্গ এবং অবৈধভাবে যোগাযোগ ডিভাইস (ওয়াকিটকি) ব্যবহার করা। এসব অভিযোগে ২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তার।