মিয়ানমারের বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এযারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরীকে প্রধান করে বিমানের ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে মিয়ানমারের ইয়াংগুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়া উড়োজাহাজের (ফিরতি ফ্লাইট) ১৭ জন অপেক্ষমান যাত্রী নিয়ে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বৈরি আবহাওয়া এবং উড়োজাহাজের সামনের চাকা ভেঙে যাওয়ায় মিয়ানমারের ইয়াংগুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৬০ ফ্লাইটের উড়োজাহাজ। এ ঘটনায় আহত হন পাইলটসহ ১৯ জন আরোহী।
দুপুর ৩টা ২০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটিতে ৩২ জন আরোহী ছিলেন।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে অবতরণের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বিমানের ওই উড়োজাহাজটি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
বিমান বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) কমকর্তা শাকিল মেরাজ জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এস২-এজিকিউ ফ্লাইটের ৮কিউ৪০০ মডেলের উড়োজাহাজটির দুর্ঘটনার পর বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে ইয়াংগুন এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ। সকল ফ্লাইটকে দেশটির রাজধানীর নেপিদো বিমানবন্দরে নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, উড়োজাহাজটি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষ ও এয়ার অপারেটরদের সবরকম সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে বিমানবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াংগুন এরোড্রোম কোম্পানি লিমিটেড (ওয়াইএসিএল)।
বুধবার প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি এ কথা জানায়।
বিবৃতিতে ওয়াইএসিএল বলেছে: ‘তাৎক্ষণিক আমরা উড়োজাহাজটির যাত্রী এবং ক্রুদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। এর পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আমরা কর্তৃপক্ষ এবং এয়ার অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব যেন ঘটনাস্থল থেকে যত দ্রুত সম্ভব সহজেই বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি সরিয়ে নেয়া যায়।’
এ ঘটনায় মিয়ানমারের ডিপার্টমেন্ট অব সিভিল এভিয়েশন (ডিসিএ) এবং এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ (এআইআইবি) মিলে তদন্তকাজ শুরু করেছে বলেও জানানো হয়েছে।