মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সেনাবাহিনী ও কাচিন বিদ্রোহীদের মধ্যে নতুন করে সহিংসতার ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে। এপ্রিলের শুরুতেই ৪ হাজার মানুষ বিতাড়িত হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
বিবিসি সূত্রে জানা গেছে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মধ্যেই সেনাবাহিনী ও কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স অরগানাইজেশন (কেআইও) এর মধ্যে চলা দীর্ঘদিনের সংঘাত নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিদ্রোহীদের দমনে তারা বিমান ও স্থল পথে হামলা চালাচ্ছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। চীন সীমান্ত সংলগ্ন সংঘাতপূর্ণ এলাকায় যারা আটকা পড়েছে তারাও আতংকে দিন কাটাচ্ছে। তাদের প্রবেশাধিকার দিতে সাহায্যকারী সংস্থাগুলো সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউমেনিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) প্রধান মার্ক কাটস বলেন, সংঘাতপূর্ণ এলাকার বেসামরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, বয়স্ক লোকজন, ছোট শিশু এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী লোকজনের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের সবার প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে কাচিনের নাগরিকরা সুরক্ষিত।
১৯৬১ সাল থেকেই খ্রিস্টান প্রধান কাচিন বিদ্রোহীরা স্বায়ত্তশাসনের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। দীর্ঘ দিনের এই সংঘাতে কাচিন ও শান রাজ্যের প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
নতুন করে এই সহিংতা নিয়ে জাতিসংঘসহ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনে শুরু হওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনলেও তা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।