শতাধিক যাত্রী নিয়ে মিয়ানমারের একটি সামরিক বিমান নিখোঁজ হওয়ার পর আন্দামান সাগরে তার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কর্মকর্তা এবং বিমান বাহিনীর সূত্রে এমনটি জানায় এএফপি।
ফেসবুক পেজে দেয়া এক বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে প্লেনের ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে যাত্রীদের মৃতদেহও পাওয়া গেছে।
দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, চীন নির্মিত এই সামরিক বিমান দক্ষিণাঞ্চলের শহর মেয়িক থেকে ইয়াঙ্গুনের দিকে যাচ্ছিলো। বিমানবন্দরের একটি সূত্রে এএফপি জানায়, প্লেনটিতে ১০৬ জন যাত্রী এবং ১৪ জন ক্রু ছিলেন।
মিয়ানমার আর্মির এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গ্রিনিচ মান সময় ৭.৫ মিনিটে প্লেনটির সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন প্লেনটি দায়েই শহর থেকে ২০ মাইল দূরে ছিলো। নিখোঁজ হওয়ার সময় প্লেনটি আন্দামান সাগরের উপর দিয়ে যাচ্ছিলো।
বিধ্বস্ত প্লেনের কিছু অংশ পাওয়া যায় দায়েই শহর থেকে ১৩৬ মাইল দূরে, জানান মেয়িক শহরের পর্যটন কর্মকর্তা নায়িং লিন জো। মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে বন্দর শহর দায়েই আকাশপথে কয়েক ঘন্টার দুরুত্বে অবস্থিত। নৌবাহিনী এখনও সন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে বলেও যোগ করেন তিনি।
বিমান বাহিনী একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে নৌবাহিনী এবং উদ্ধারকারী জাহাজ প্লেনটির কিছু অংশ খুঁজে পেয়েছে বলে নিশ্চিত করে।
এই দুর্ঘটনাকে যান্ত্রিক ত্রুটি হিসেবেই দেখছে বিমানবন্দর সূত্র। আবহাওয়া তখন ভালো ছিলো সূত্রটি এএফপিকে জানায়।
পশ্চিমা অবরোধের কারণে মিয়ানমারের সাবেক সামরিক জান্তা সরকার তাদের ৫০ বছরের শাসনামলে অধিকাংশ এয়ারক্রাফট চীন থেকেই ক্রয় করে।
মিয়ানমারের সামরিক প্লেনে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি প্লেন বিস্ফোরিত হলে ৫ জন ক্রু নিহত হয়। জুনে এমআই-২ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হলে তিনজন সামরিক কমকর্তা নিহত হন।
২০১২ সালে হেহো বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে কিছুটা দূরে একটি কমার্শিয়াল জেট বিধ্বস্ত হলে একজন যাত্রী এবং মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়।