মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি দাঁড় করাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দাবি জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিশ্বের ৪টি শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে তারা বলেছে, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এজন্য অং সান সু চিও দায় এড়াতে পারবেন না।
মিয়ানমার থেকে বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা এখন ১১ লাখের বেশি। বিভিন্ন দেশ আর আন্তর্জাতিক সংস্থার পর গত সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যরা বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
এর পরপরই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ফরটিফাই এবং গ্লোবাল সেন্টার ফর রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট এর যৌথ সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনে ফরটিফাই রাইটস। এর প্রধান নির্বাহী ম্যাথিউ স্মিথ বলেন: অং সান সু চি এ সমস্যার জন্য দায়ী এটা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত। আমরা সামরিক ও বেসামরিক প্রায় ডজন খানেক ব্যক্তির তালিকা করতে চলেছি। তবে আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আহবান জানাচ্ছি।
গ্লোবাল সেন্টার ফর রেসিপন্সিবিলিটি টু প্রটেক্ট এর সবিতা পান্ডে বলেন: আমরা সুনির্দিষ্টভাবেই বলছি মিয়ানমারে গণহত্যা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে। মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি করার ক্ষেত্রে ভেটো শক্তি কোনো অজুহাত হতে পারে না।
আরাকান রাজ্য ছাড়া অন্যান্য রাজ্যেও মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আইন ও নীতিমালা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক তোয়ান্ডা মুতাসে বলেন: আমরা স্যাটেলাইট ছবিসহ বিভিন্ন ধরণের প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। শুধু রাখাইনেই নয় আরো কয়েকটি প্রদেশেও একই ধরণের অপরাধ হয়েছে। মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখি করতে আমরা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
হিউমান রাইটস ওয়াচ এর সহযোগী পরিচালক পরম প্রীত সিং বলেন: মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। অথচ অং সান সু চি শুধু এসব অস্বীকারই করছেন না, তার দপ্তর অসহযোগিতাও করছে। এখন সুবিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতই শেষ ভরসা।
জাতিসংঘ করসেপন্ডেন্ট এসোসিয়েশনের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
দেখুন ভিডিও রিপোর্ট: