যথাযোগ্য মর্যাদায় মিশরের কায়রো দূতাবাসের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম।
এর আগে রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম দুতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপনের দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির সূচনা করেন।
স্থানীয় সময় সন্ধা ৬টায় দূতাবাসের ১ম সচিব ও দূতালয় প্রধান মুহাম্মদ ইসমাঈল হুসাইনের সঞ্চালনায় জুম ওয়েবিনারে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মুহাম্মদ ইসমাঈল হুসাইন ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান দূতাবাসের তৃতীয় সচিব আতাউল হক।
অনলাইন জুম মিটিংয়ে রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের পর আইসিটি বিভাগ থেকে প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত ভিডিও প্রচার করা হয়। পরে বাংলাদেশ থেকে আলোচনায় অংশ নেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম মাওলা ও ডাক্তার সাফায়েত উল্লাহ। বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ মিশর দূতাবাসের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জত, সৌদি আরবে বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক এম ওয়াই আলাউদ্দিন ও যুক্তরাজ্য থেকে যোগ দেন দি গার্ডিয়ান ও প্রথম আলোর প্রতিনিধি মুঃ ওয়াসিম উদ্দিন ভুঁইয়া।
সেসময় মিশরের রাজধানী কায়রো ও বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরা যোগ দিয়ে দিবসটির তাৎপর্য উল্লেখ করে বক্তব্য প্রদান করেন। জুম মিটিংয়ে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধার সন্তান এবং জাতিসংঘে (খাদ্য ও কৃষি সংস্থা) কর্মরত মিশর প্রবাসী নাফিজ আহমেদ খান, কায়রো আমেরিকান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শাহজাহান ভুঁইয়া, ডাঃ আরিফুল হক, ইসা আহমেদ সহ পেশাজীবী প্রবাসীরা।
রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ৭ মার্চের ভাষণের পরই সমগ্র দেশ জুড়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করে এবং স্বাধীনতার আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ২৫ মার্চের কালরাত্রে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতারের পর। যার পথ-পরিক্রমায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যূদয় ঘটে।