বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলকে আনতে আগ্রহী বিসিবি। সম্ভাব্য স্পিন কোচদের তালিকায় থাকা ১০-১২ জনের মধ্যে বোর্ডের প্রথম পছন্দ সাবেক এই অজি লেগস্পিনার। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আশা, ম্যাকগিল সাদরেই প্রস্তাব গ্রহণ করবেন।
রোববার মিরপুরে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে নাজমুল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ১০-১২ জনের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। এরমধ্যে প্রায় সবাই ইতিবাচক ছিল। আমাদের জানা মতে, এরা প্রত্যেকেই আগ্রহী। যাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে শর্ট লিস্ট করেছিলাম, তার মধ্যে প্রথম পছন্দ হিসেবে রেখেছি স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলকে। কিন্তু টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন, কবে থেকে কী সেটি এখনও ফাইনাল হয়নি।’
বোর্ড চাইছে প্রাথমিকভাবে তিনমাসের জন্য ম্যাকগিলকে আনতে। সব কিছু ইতিবাচক থাকলে মেয়াদ বাড়ানো হবে বলেও জানান নাজমুল, ‘প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য কাজ করবে এবং তা অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগেই। তারও ভালোলাগার ব্যাপার থাকতে পারে। কাজ করুক। সব ঠিক থাকলে আমরা মেয়াদ বাড়াবো।’
পেস বোলিং কোচ হিসেবে শ্রীলঙ্কান চম্পাকা রামানায়েকের নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি। জাতীয় দলের জন্য আনা হলেও তিনি মূলত হাই-পারফরম্যান্স ও বিসিবির অন্য ইউনিটগুলোর সঙ্গেই বেশি কাজ করবেন।
জাতীয় দলের পেস বোলিং মেন্টর হিসেবে কোর্টনি ওয়ালশ কাজ করছেন। এর মাঝেই আরেকজন পেস বোলিং কোচ। তবে এই ক্যারিবিয়ান গ্রেট কেবল জাতীয় দলের সঙ্গেই কাজ করছেন। রামানায়েকের কাজ হবে বিসিবির সকল দলের পেস ডিপার্টমেন্টের সঙ্গেই। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
৪৬ বর্ষী ম্যাকগিলের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের পরিচয় না থাকার কারণ নেই। শেন ওয়ার্নের যুগে জন্ম নিয়ে বেশিরভাগ সময়ই একাদশে জায়গা মেলার জন্য যুদ্ধ করতে হয়েছে অজি লেগিকে। সুযোগ পেলেই জ্বলে উঠেছেন। মূলত টেস্টই খেলেছেন। ৪৪ টেস্টে ২০৮ উইকেট ঝুলিতে, সেরা ১০৮ রানে ৮টি। ইনিংসে পাঁচ উইকেট ১২ বার ও টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে দুবার দশ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মাত্র ৩টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ মিলেছে তার। ২০০৮ সালে ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছেন ম্যাগগিল, অবশ্যই সেটি টেস্ট ছিল।