ফাইনালসহ বিপিএলে ম্যাচের সংখ্যা ৩৪টি। যার দুই-তৃতীয়াংশ হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। এখানকার উইকেটের আচরণ নিয়ে প্রতিবারই থাকে প্রশ্ন। এবার রান উপহার দিতে পারবে হোম অব ক্রিকেট?
টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে চার-ছক্কা দেখার আশায় থাকেন সবাই। প্রত্যাশা না মিটলে আয়োজন হয়ে যায় ম্যাড়মেড়ে। টুর্নামেন্ট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন দর্শক।
এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই রান দেখতে গ্রাউন্ডস কমিটিকে অনুরোধ করেছেন আয়োজকরা। এই ভেন্যুর কিউরেটর গামিনী ডি সিলভা চাওয়া পূরণ করতে পারেন কিনা সেটিই দেখার।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বললেন, ‘উইকেট নিয়ে প্রতিবারই যে সমস্যা হয়, ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ খেলা না হওয়ার ফলে যে ভেন্যুতে খেলা হয় সেখানে আমরা টানা চার-পাঁচ দিন খেলি। একই মাঠে একই উইকেটে চার-পাঁচ দিন খেলা হলে এটি ভালো রাখা খুব কঠিন।’
‘বেশ কয়েকবার আমরা গ্রাউন্ডস কমিটির সঙ্গে বসেছি। তাদের অনুরোধ করেছি যেন যথাসম্ভব ভালো স্পোর্টিং উইকেট হয়, রান ভালো হয়। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে যেটি মূল লক্ষ্য থাকে রান হওয়া, সেটার ব্যাপারে আমরা বলেছি। তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। একই মাঠে টানা খেলা হলে চাপ পড়ে, এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে।’
শুক্রবার মিরপুরে দুপুর দেড়টায় সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে। মিরপুরে স্পোর্টিং উইকেটের আশা করেছেন সাকিবও, ‘যদিও এখনো উইকেট দেখতে পারিনি। বিশ্বাস করি স্পোর্টিং উইকেট হবে। যেখানে সবার জন্যই কিছু না কিছু থাকবে। আশা করি ভালো একটা ম্যাচ দিয়ে বিপিএল শুরু হবে।’