বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে লড়াইয়ের যেনো রণ দামামা বেজে উঠেছে। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে রোববার বিকাল তিনটায় অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য যেমন সিরিজ জয় নিশ্চিত করার লড়াই, তেমনি ভারতের জন্য ডু অর ডাই ম্যাচ।
দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে নিজেদের ‘ফেভারিট’ দাবি না করলেও সিরিজ জয়ে ‘আত্মবিশ্বাসী’ বাংলাদেশের হেডকোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করতে চান টাইগার কোচ হাথুরুসিংহে। কোচ বলেন, আমরা ভারতের বিপক্ষে ফেবারিট না হলেও আত্মবিশ্বাসী। হাথুরেসিংহে বলেন, প্রথম ম্যাচটি জিতে যাওয়ায় চাপটা একটু কম। তবে আমি নিজেদের ফেভারিট বলতে চাইনা। শুধু বলতে চাই দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজ জেতার মতো আত্মবিশ্বাস আছে আমাদের। ছেলেরা সেই টার্গেট নিয়েই মাঠে নামবে।
আর সিরিজে টিকে থাকার ম্যাচে নিজেদের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিতে প্রত্যয়ী ভারত। তবে হোম সিরিজে বাংলাদেশ জিতে গেলে সেটাকে ‘অঘটন’ হিসেবে দেখবে না ভারত, এমন মন্তব্য করেছেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা।
দুপুরে হোম অফ ক্রিকেটে অনুশীলন শেষে খেলোয়াড়েরা ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলেও শের-ই-বাংলার ঠিক মাঝখানে বাংলাদেশের অধিনায়ক মনোযোগ দিয়ে পিচ পরীক্ষা করে দেখেন। রীতিমতো খুটিয়ে খুটিয়ে পিচ পরীক্ষা করেন ক্যাপ্টেন মাশরাফি।
‘পিচ-গবেষণায়’ ম্যাশের সঙ্গী হন টাইগারদের পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকও। হতেই পারেন, কারণ আগের ম্যাচটা একাই জিতিয়েছিলেন ডেব্যুটেন্ট পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। হয়তো রোববারের ম্যাচেও পেস দিয়েই ভারতকে কাবু বানানোর রণ কৌশল নিয়ে ব্যস্ত পেস ডিপার্টমেন্ট।
প্রি-ম্যাচ প্রেস কনফারেন্সে আসেননি মাশরাফি, তাই জানা যায়নি তাদের গবেষণার বিষয় বস্তু। তবে হেডকোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, সেকেন্ড ওয়ানডেতে ‘ফেবারিট’ নয় তার টিম, তবে ‘কনফিডেন্ট’।
অবশ্য ম্যাশরা যা করেছেন সেই একই কাজ করেছে ভারতীয় দলও। প্র্যাকটিসে নামার আগে ছোট্ট মিটিং হয়ে গেছে ২২ গজের আশপাশে।
আগের ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারে নি ১৯ বছরের মুস্তাফিজের সামনে। শুধু ওপেনার রোহিত শর্মাই করেছিলেন ৬৩। আর সে কারণেই হয়তো প্রেস কনফারেন্স ‘সামাল দিতে’ তাকেই পাঠালো টিম ইন্ডিয়া।
সিরিজে টিকে থাকতে নিজেদের সেরা চেষ্টাতো করতেই হবে। প্রেস কনফারেন্সে নিজের টিমের চেয়ে বাংলাদেশ নিয়েই বেশি কথা বলতে হলো রোহিতকে।
রোহিত বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। চলতি সময়ে বাংলাদেশ নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলছে বলেই মনে করি। হোমগ্রাউন্ডে তারাও সুযোগটা নিতে চাইবে। এমনকি তারা জিতেও যেতে পারে। আর সেরকম কিছু হলে আমরা তা অঘটন হিসেবে দেখবো না।