মিরপুর মাজার রোডের বর্ধনবাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানা থেকে অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধারসহ বাড়ির মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদ ও নৈশপ্রহরী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ভবনটিতে এখনো প্রচুর আইইডি ও বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মোহাম্মদ মুফতি মাহমুদ খান।
বাড়ির মালিক ও নৈশপ্রহরীকে একটি নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ওই ভবনে প্রবেশ করে তল্লাশি শুরু করে। সেখান থেকে বেশ কিছু ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে দারুস সালাম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ছয়তলা বিশিষ্ট ‘কমলপ্রভা’ নামের ওই বাড়ির পঞ্চমতলা থেকে সাতটি দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, র্যাব সদস্যরা জঙ্গি আস্তানা থেকে দুর্ধর্ষ জঙ্গি আব্দুল্লাহ, তার দুই শিশু সন্তান, দুই স্ত্রী ও দুই সহযোগীর লাশ উদ্ধার করেছে। লাশগুলো পুড়ে কয়লা হয়ে বিকৃত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে পরপর তিনটি বড় ধরনের শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে কক্ষে থাকা অন্যান্য বিস্ফোরক দ্রব্য চারিদিকে ছিটকে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের পর ওই কেমিক্যালে আগুন লেগে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে জঙ্গি আব্দুল্লাসহ তার দুই সহযোগী, দুই স্ত্রী ও দুই সন্তান পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। এতে ভবনের পঞ্চমতলার জানালার থাইগ্লাস ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। পঞ্চমতলার মেঝেতে ফাটল তৈরি হয়।
র্যাব সদস্যরা জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ওই বাড়িটি সোমবার গভীর রাত থেকে ঘিরে রাখে।