বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের ভেন্যু ঢাকার মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডকে ‘খারাপ’ আখ্যায়িত করে আইসিসিতে রিপোর্ট করেছেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো। সেইসঙ্গে আউটফিল্ডের মান নিয়ে গভীর ‘উদ্বেগ’ও প্রকাশ করেন এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি ক্রো।
বৃহস্পতিবার জেফ ক্রোর রিপোর্ট ও উদ্বেগের বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ওই টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মত হারানোর স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
আইসিসির পিচ ও আউটফিল্ডের ৩ নং বিধি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষে আইসিসিতে রিপোর্ট জমা দেন ক্রো। সেখানেই মিরপুরের আউটফিল্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
রিপোর্টের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে এরইমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে আইসিসি। তাতে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে বিসিবিকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিসিবি জবাব দেয়ার পর আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট) জিওফ অ্যালারডাইস ও এলিট প্যানেলের ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে রিভিউ জানাবেন। পরে আইসিসির ৪ নং ধারা অনুযায়ী বিষয়টির প্রক্রিয়া সুরাহা করা হবে।
ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী ক্রিকইনফোকে বলেছেন, তাদের উদ্বেগের আসল জায়গাটা ছিল মাঠের ঘাস নিয়ে। কিন্তু আমরা দেখেছি, গত এক দশকের মধ্যে চলতি বছরের আবহাওয়া ছিল সবচেয়ে খারাপ। গ্রাউন্ডসম্যানরা তবুও তাদের সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা করেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিসিবির জবাব ও আইসিসির পর্যবেক্ষণ শেষে সংস্থাটির ৪ নং ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশকে শুনতে হতে পারে সাবধানবাণী বা গুণতে হতে পারে জরিমানাও। জরিমানার অংকটা ১৫ হাজার ডলারের বেশি হবে না। তবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে যদি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে তাহলে জরিমানার পরিমাণ ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে।