মিন্নির প্রতি উৎসাহী না হয়ে মূল আসামির দিকে পুলিশের নজর দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
বরগুনায় দিনের বেলা প্রকাশ্যে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে হত্যার ঘটনাটি পিবিআই বা সিআইডির অধীনে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন উপস্থাপনের পর রোববার হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন।
এ সময় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আরো বলেন, ‘পুলিশ আরো ‘অ্যালার্ট’ থাকলে হয়ত রিফাতকে মরতে হতো না। পুলিশ কি ঘুমিয়ে ছিল?’
এরপর হাইকোর্ট এই মামলাটির তদন্তের বিষয়ে এখনই হস্তক্ষেপ করা হবে না, উল্লেখ করে রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আজ রবিবার আদালতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি করেন। রিটে রিফাত শরীফকে হত্যার ঘটনাটি পিবিআই বা সিআইডির অধীনে তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়। এবং এ মামলায় মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অবৈধ ঘোষণা ও এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়।
এ রিটে বিবাদী করা হয় স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি, বরিশালের ডিআইজি, বরগুনার পুলিশ সুপারসহ সাতজনকে।