সৌদি বাদশা সালমান হজ’র নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়ে মিনা ট্রাজেডির জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
সৌদি সরকারের হিসেব মতে এবারের হজে মিনায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১৭ জনে, আহত হয়েছেন ৮৬৩ জন। এই ঘটনা গত পঁচিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
হজের রীতি অনুসারে শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর ছোড়ার সময় ভিড়ের চাপে এবং হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সৌদি বাদশা সালমান বলেছেন, ”হজযাত্রীদের জন্য বর্তমান সুবিধা ও ব্যবস্থাপনায় কোনো সমস্যা আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। হাজিদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং হজ্জ ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।”
ঘটনার জন্য সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রী খালেদ আল ফালি ঘটনার জন্য হাজিদের সময়সূচি অমান্য করাকে দায়ি করলেও, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সৌদি যুবরাজকে রাস্তা করে দিতেই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেজর জেনারেল মনসুর আল তুর্কি বলেছেন, নিয়ম ভেঙে দুটি ভিন্ন পথ দিয়ে আসা হাজিদের দুটি বিশাল দল শয়তানকে পাথর মারতে যাওয়ার রাস্তা দুটির সংযোগস্থলে পৌঁছলে ভিড়ের চাপে ও হুড়োহুড়িতে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পবিত্র হজ পালনে এবছর প্রায় ২০ লাখের বেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।