নবম উইকেট পড়ে গেছে ২২৮ রানে, জয়ের জন্য তখনও দরকার ১২ রান, হাতে বল আছে ১৪টি। অন্যদিকে, কুয়েতের শেষ উইকেটটি হলেই জিতে যাবে নেপাল। কিন্তু এভারেস্ট টপকানোর পণ নিয়ে উইকেটে যে তখনও একজন ওপেনার অবিচল। মিত ভাস্বর শেষ পর্যন্ত ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকলেন। কুয়েতকে ১ উইকেটের জয় উপহার দিয়ে ছেড়েছেন মাঠ।
যুব এশিয়া কাপে বি-গ্রুপে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে নেপালকে হারানোর পথে কুয়েতের নায়ক মিত ভাস্বর। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন, ম্যাচ জিতে ফিরেছেন। দেড়শ পেরোনো ইনিংসটি সাজানো ১৪৯ বলে, যাতে এক ছক্কার পিঠে ২৪ চারের মার।
আরব আমিরাতে ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কুয়েত। আগে ব্যাট করে বিবেক মাগার ও বাশির আহমাদের ফিফটিতে ৪২ ওভারে ২৩৯ রান তুলে অলআউট হয় নেপাল।
মিরাজ ও সাদিক নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ৩টি করে উইকেট তুলেছেন হেনরি থমাস ও বাস্তাকি।
জবাব দিতে নেমে জুড সালদানহাকে নিয়ে শতরানের জুটি গড়েন অধিনায়ক ভাস্বর। ২৫ রানে সালদান ফিরলে বাকি ব্যাটাররা ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। দুঅঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেনি আর কোনো ব্যাটার। একপ্রান্তে লড়াই করে গেছেন ভাস্বর।
শেষদিকে টেলের আব্দুল ফারুক কিছুটা সঙ্গ দিলেও তা ৭ রানের বেশি ছিল না। তাকে অনুসরণ করে আজিম ও থমাস। বিপদ কাটিয়ে দেন অধিনায়ক। ৭ বল হাতে রেখেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন কুয়েতকে।
মাঠে গড়ানোর পর এদিন করোনা থাবায় পণ্ড হয় গ্রুপের অন্য ম্যাচটি, যাতে বাংলাদেশ খেলছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। রানরেটে এগিয়ে এই গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশ ও রানার্সআপ হিসেবে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।