বয়:সন্ধিকালীন কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও গর্ভকালীন নারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার কার্যক্রমের জন্য জনসংখ্যা দিবসে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলো চ্যানেল আাইয়ের অনুষ্ঠান ‘স্বর্ণকিশোরী’। জনসংখ্যা দিবেসর আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ আলোচকরা বলেছেন, নিরাপদ কিশোরী স্বাস্থ্য ও আগামীর সুস্থ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে পারে বলিষ্ঠ বাংলাদেশ।
স্বর্ণকিশোরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফারজানা ব্রাউনিয়া বলেন, মিডিয়া যে অনেক কিছু করতে পারে তার একটা বড় প্রমাণ হলো স্বর্ণকিশোরী।
‘নারী শিশু সবার আগে বিপদে-দুর্যোগে প্রাধান্য পাবে’ এই স্লোগানে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপনে এবার ছিলো বর্ণাঢ্য আয়োজন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের যৌথ আয়োজনে সবার আলোচনায় উঠে আসে একই কথা, বাংলাদেশের ২ কোটি কিশোরীকে তাদের বয়:সন্ধিকালীন সাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করা গেলে প্রত্যেকে আগামী দিনের নিরাপদ ও দক্ষ মায়ে পরিণত হবে। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নেই সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও সচেতনতামুলক কার্যক্রমের মাধ্যমে কাজ করছে ‘স্বর্ণকিশোরী ফাউন্ডেশন’। এবার মিডিয়ার অ্যাওয়ার্ডও পেলো চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান স্বর্ণকিশোরী।
আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে আগে সহ¯স্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এবার নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষিত সচেতন কিশোরী ও আগামীদিনের মায়েদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মানবসৃষ্ট দুর্যোগ হলো নারীরা, মেয়েরা, শিশুরা নির্যাতিত হয়। তারা অনেকভাবে নির্যাতিত হয়। তাদেরকে রক্ষা করতে হবে। আর স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এই অর্জনগুলো যদি ধরে রাখতে হয়,এগিয়ে নিতে হয় তাহলে মেয়ে শিশুদের দিকে আরো যত্মবান হতে হবে।
আয়োজকরা জানান, মন্ত্রণালয় ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে বন্ধে ও মেয়ে শিশুদের সর্বাগ্রে স্থান দিতে সচেতনতামূলক যে কোনো উদ্যোগকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, নারী মানে নারী, নারী মানে বাড়ি, নারী মানে ছায়া। এই নারীকে রক্ষা করতে হবে। সব ধরনের নির্যাতন থেকে নারীকে রক্ষার কথা বলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নুর হোসেন তালুকদারও।
অনুষ্ঠানে ইউএনএফপিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গর্ভকালীন মাতৃত্ব ও বয়:সন্ধিকালীন কিশোরীদের সচেতনতার বৈশ্বিক কার্যক্রমে বাংলাদেশের নেতৃত্ব নেয়ার সুযোগ রয়েছে।