এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতা মেহেদী মোস্তফা রাজিব ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। দায়িত্বপালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে। মায়ের স্বপ্ন ছিল, ছেলে জজ হবেন। মায়ের স্বপ্ন পূরণে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। বত্রিশের কাছাকাছি বয়সের তরতাজা প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়ায় সেখানে চলছে শোকর মাতম।
বাবা গোলাম মোস্তফা দুলাল ও মা রূপা বেগমের দুই সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান রাজিবের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে ভূঞাপুরের গাড়াবাড়ি গ্রামে। সেখানে এখন শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সাথে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাই জিহাদের সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জিহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে তার মাকে আঘাত করতে গেলে বাধা দেয় রাজিব। এসময় রাজিব কিছু বুঝে উঠার আগেই জিহাদ উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন হতে হয় তাকে। সন্তান হারিয়ে মা এখন দিশেহারা।
ময়নাতদন্ত শেষে আজ আসরের নামাজের দাফন সম্পন্ন হয়েছে রাজীবের। নম্র, ভদ্র ও মেধাবী হিসেবে এলাকার লোকজনের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলো সে। শোকে কাতর এলাকাবাসীও চাইলেন উপযুক্ত বিচার।
এ নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় রাজিবের বাবা বাদি হয়ে জিহাদকে প্রধান ও তার দুই ভাই এবং মায়ের নাম উল্লেখসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে চাইলেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনার প্রত্যাশা তার।
শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল জেনারলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম সজিব।