চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

মায়ার অাপিলের রায় প্রকাশ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলায় সাজার বিরুদ্ধে মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার আপিলের নতুন করে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের রায় প্রকাশ হয়েছে।

দুদকের আইনজীবী জানিয়েছেন, এর ফলে সংবিধান অনুযায়ী মায়ার জাতীয় সংসদ সদস্য থাকা উচিত নয়। মন্ত্রী থাকার বিষয়েও সংসদে আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি। তবে আপিল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় মায়ায় মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য থাকায় আইনী বাধা নেই বলে দাবি করেন তার আইনজীবী।

দুদকের করা মামলায ২০০৭ সালে বিশেষ জজ আদালত ৫ মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়াকে আইনের একটি ধারায় ৩ বছর এবং অন্য ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আসামিকে খালাস দিয়ে ২০১০ সালে হাইকোর্ট রায় দিলে এর বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে মায়ার করা আপিল নতুন করে শুনানি করতে বলেন। এর পরই মায়ার মন্ত্রী পদে থাকা নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় প্রকাশ করা হয়।

সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেউ যদি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে হন এবং তাঁর মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয় তাহলে তিনি সংসদ সদস্য পদের জন্য অযোগ্য হবেন। এর উল্লেখ করে মায়ার সংসদ সদস্য কিংবা মন্ত্রী থাকতে পারা না পারার বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা দেন দুদকের আইনজীবী।

দুদকের আইনজীবি খুরশিদ আলম খান বলেন, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ ২(ঘ) এটা কতটুকু এ্যাট্রাক করে আমি মনে করি এটা সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত এবং একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ।

আমি মনেকরি যেহেতু ৬৬অনুচ্ছেদ ২(ঘ) ধারায় বলা আছে নৈতিকতার স্খলনজনিত এবং উনি মুক্তি পাবার পর সে দুটো জিনিস যদি আমি একত্রে মিলিয়ে পড়ি তো আমি মনেকরি ওনার সংসদ সদস্য হিসেবে থাকা উচিত না।

দুদকের আইনজীবীর সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেন মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার আইনজীবীর।

মায়ার আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, সাজাটা এখন আবার বিচার সাপেক্ষে আছে। সুতারাং বর্তমানে উনি মন্ত্রী থাকুক এমপি থাকুক আমি মনেকরি যে সংবিধানের কয়েক ধারা দুই একজন উল্লেখ করে যদিও কিছু বলে থাকে সেটা এই প্রেক্ষাপটে এ্যাপলাই করবে না, কারণ ওনার আপিলটা এখনো পেন্ডিং আছে।

তবে মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়ার মন্ত্রী ও জাতীয় সংসদ সদস্য থাকার বিষয়ে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে কিছু বলা হয়নি।