করোনাকালেই মেয়েকে নিয়ে বাজারে গেছিলেন মা। মায়ের মুখে মাস্ক থাকলেও মাস্ক ছিলো না মেয়ের মুখে। তাই তাকে দোকানে ঢুকতে বাধা দেয় দোকানের নিরাপত্তা প্রহরী। সেই প্রহরীকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে ওই মা, তার স্বামী ও তাদের ছেলেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ফ্লিন্টে ফ্যামিলি ডলার স্টোরে কেলভিন মুনেলিন(৪৩)এর মাথার পেছনের দিকে গুলি করা হয় শুক্রবার। সেখানে মহামারী করোনার আঘাত সবচেয়ে প্রবল।
ওই রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হলেও মাস্ক না পরে ৪৫ বছর বয়সী নারী শারমেল টিগুর তার মেয়েকে নিয়ে দোকানের ভেতরে যেতে চাইলে বাধা দিয়ে আক্রমণের শিকার হন দোকানের প্রহরী।
আক্রমণকারী সেই মহিলার স্বামী ল্যারি টিগু(৪৪) এবং ছেলে র্যামোনিয়া বিশপ(২৩)এর দায় তারা এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই সেই দোকানে যান এবং মুনেলিনের উপর আক্রমণ করেন।
শারমেল টিগুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর অন্য সন্দেহভাজন দুজনকে এখনো পুলিশ খুঁজছে। তাদের তিনজনের বিরুদ্ধেই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দোকানের ভেতরে ফেসমাস্ক পরার সরকারি আদেশ উপেক্ষা করার অভিযোগও আনা হয়েছে ল্যারি টিগুর বিরুদ্ধে। তবে তাদের মেয়ের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
জিনেসি কাউন্টি প্রসিকিউটর ডেভিড লেটন বলেন, ওই দোকানে মৌখিক বাতবিতণ্ডা হওয়ার পরে শারমেল টিগু মুনেলিনের প্রতি চিৎকার করে ও থুথু ছোঁড়েন। পরে লালরঙা জিএমসি এনভয় চালিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পরেই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে ফেরত আসেন। তখনই গোলাগুলি ঘটে। ছেলেই মূলত ট্রিগার টেনেছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসিকিউটর বলেন, মুনেলিনের মৃত্যু খুবই দু:খজনক। এর জন্য দায়ীকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
মিশিগানে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩,৯৫০ আর প্রাণ হারিয়েছে ৪১৩৫ জন। বিশ্বে মোট করোনায় আক্রান্ত এখন ৩৬ লাখের অধিক, আর মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় ২ লাখ ৫২ হাজার।