রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে জয়ের জন্য রংপুরের টার্গেট ১৩৬ রান। এই রান তাড়া করতে নামা রংপুরের ওপেনিং জুটি দেখে ক্রিকেটপ্রেমীরা চমকে উঠল। বিপিএলের দর্শকদের একেবারে চমকে দিয়ে ক্রিস গেইলের সঙ্গী যে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা নিজে।
এর আগে গত বছরের মার্চে ফতুল্লায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নামেন আবাহনী লিমিটেডের অধিনায়ক মাশরাফী। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওপেনিং করেও সফল হতে পারেননি। আউট হন ৭ রান করে।
দ্বিতীয়বারও সফল হননি। মাশরাফী চমকের দিনে হেরে গেছে তার দল। রাজশাহীর কাছে ৫ রানে হেরেছে তারা। পাঁচ ম্যাচে এটি রংপুরের তৃতীয় হার। আর চার ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল রাজশাহী।
প্রথম ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করে রংপুর। জবাবে ৬ উইকেটে ১৩০ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০ রান, মোস্তাফিজের ওভারে ৪ রানের বেশি নিতে পারেনি দুই ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো ও ফরহাদ রেজা।
ওপেনিংয়ে প্রথম অভিজ্ঞতা মোটেই প্রীতিকর হয়নি মাশরাফীর। ইনিংসের প্রথম ওভারে দুই বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে ম্যাশকে। রাজশাহীর পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির দ্রুতগতির একটি উঠতি ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এরপর অন্য ওপেনার গেইল ১৪ বল থেকে সমান দুটি চার-ছয়ে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরেন।
গেইল ফেরার পর ছোট তবে ভালো ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৩১ বলে দুই ছক্কায় ৩০ রান করেন তিনি। মিঠুন ফেরার পরপরই আউট হন রবি বোপারা (১)। মোহাম্মদ হাফিজের বলে বোল্ড হন ইংলিশ অলরাউন্ডার। ৪ রানে রানআউট হন বিনি হাওয়েল।
একদিকে বরফের মতো জমে থাকা রুশোকে শেষ দিকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টার করেছিলেন নাহিদুল ইসলাম। ১২ বলে ১৬ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০ রান। মোস্তাফিুর রহমানের করা ওভারে রংপুর নিতে পারে ৪। প্রথম বলে রুশো এক রান নেয়ার পর টানা চারটি ডট দেন ফরহাদ রেজা। শেষ বলে এক রানের বেশি নিতে পারেননি ৪৪ রানে অপরাজিত থাকা রুশো।
এর আগে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে রংপুর ১৩৫ রানে বেঁধে ফেলে রাজশাহীর ইনিংস।