প্রেমাদাসা, কলম্বো থেকে: দারুণ এক জয় দিয়ে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজও ১-১ সমতায় শেষ করল বাংলাদেশ। হোস্ট শ্রীলংকাকে ৪৫ রানে হারিয়ে স্মরণীয় এক সফর শেষ করল বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের শেষ টি-টুয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়ক মাশরাফিকে দারুণ এক বিদায়ী উপহার দিল ‘টিম-টাইগার্স।
অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের বলে সঞ্জয় আউট হতেই কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম শুনল বাঘের গর্জন। ১৭৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নামা শ্রীলংকা অলআউট ১৩১ রানে। টানা আট টি-টুয়েন্টি ম্যাচ হারের পর প্রথম জয় টাইগার্সের। তাতেই অবিস্মরণীয় এক সিরিজ শেষে বীরের বেশে দেশে ফিরছে মাশরাফি, মুশফিক, সাকিবরা।
শ্রীলংকাকে শুরু থেকেই কোণঠাসা করে সাকিব আর মোস্তাফিজের দুরন্ত বোলিং। মোস্তাফিজ নিয়েছেন চার উইকেট। তিন উইকেট নেয়া সাকিবই শুরু করেছিলেন লংকান ব্যাটসম্যান শিকার।
নিজের প্রথম দুই ওভারে কুশাল পেরেরা আর মুনাবীরাকে আউট হরে ব্রেক থ্রু দেন সাকিব আল হাসান।
শ্রীলংকার ইনিংস জোর ধাক্কা খায় মোস্তাফিজের স্পেলের প্রথম দুই ডেলিভারিতে। গুনারত্নে ও সিরিওয়ার্দেনেকে বিদায় করে বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন দ্য ফিজ।
৪০ রানে পাঁচ উইকেট হারানো শ্রীলংকা স্বপ্ন দেখছিলো টিসেরা পেরেরা ও কাপুগেদারার ৫৭ রানের জুটিতে। পেরেরাকে সাকিব তার তৃতীয় শিকার বানাতেই প্রেমাদাসায় কবরের নীরবতা।
এরপর ইনিংসের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান কাপুগেদারাকে নিজের চতুর্থ শিকার বানাতেই ইতিহাস গড়া এই জয়ের সুবাস পায় মাশরাফি ও তার দল।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেন অধিনায়ক মাশরাফি। ইনজুরি আক্রান্ত তামিমের পরিবর্তে খেলতে নামা ইমরুল কায়েসের সঙ্গে সৌম্যর পার্টনারশীপ দিয়েছে দুরন্ত সূচনা, পাওয়ারপ্লের প্রথম ছয় ওভারে ৬৮।
প্রথম দশ ওভারে ১০২ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে চালকের আসনেই ছিলো টাইগার্স। ইমরুলের ৩৬ এ বিদায়ে ছন্দপতন। হাল ধরেছিলেন সাকিব। ৩৮ রান করে সে বিদায় নিতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে লাল-সবুজ।
১৯তম ওভারের শেষ তিন বলে মুশফিক, মাশরাফি ও মেহেদি হাসান মিরাজের উইকেট নিয়ে টি-টুয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক মালিঙ্গার, আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে এটা হ্যাটট্রিকের পঞ্চম ঘটনা।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ স্কোর বোর্ডে শেষ পাঁচ ওভারে ৪০ রান, সবমিলিয়ে ৮ উইকেটে ১৭৬। শেষ পর্যন্ত এই রানকেই নিরাপদ সংগ্রহ বানিয়ে দুর্দান্ত এক জয় আনে বাংলাদেশ।