মালয়েশিয়াতে ‘স্মরণকালের ভয়াবহ ধরপাকড়ের’ শিকার হাজার হাজার অসহায় বাংলাদেশীদের সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্যারিস ভিত্তিক ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউবিও)।
আন্তঃমহাদেশীয় এই সংস্থার সভাপতি কাজী এনায়েত উল্লাহ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশীরা যারা ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন এবং সম্ভাব্য গ্রেফতারের ভয়ে যারা বনে-জঙ্গলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে সবার আগে বাংলাদেশ সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।
“ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউবিও) মনে করে, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে যেহেতু বছরে পর বছর ধরে সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান এবং লাখ লাখ বাংলাদেশী দক্ষ-অদক্ষ কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমে যেহেতু গড়ে উঠেছে আধুনিক মালয়েশিয়া, তাই চলমান এই সংকটকালে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে আমাদের বসে থাকার সুযোগ নেই।”
“ইতিমধ্যে গত ক’দিনে সহস্রাধিক বাংলাদেশী গ্রেফতার হয়েছেন এবং আরো হাজার হাজার বাংলাদেশী যে কোন মুহূর্তে গ্রেফতারের ঝুঁকিতে আছেন।” উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যত দ্রুত সম্ভব সক্রিয় ভূমিকা রাখা হলে বিপদগ্রস্ত হাজার হাজার বাংলাদেশীর দুর্দশা লাঘব এখনো সম্ভব।
“দুই দেশের মধ্যকার আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যার একটি গ্রহনযোগ্য সমাধানে আসা যেতে পারে। কেননা ভিক্টিম বাংলাদেশীদের অধিকাংশেরই একসময় বৈধ কাগজপত্র থাকলেও সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে তারা আজ চরম অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।”
ডাব্লিউবিও গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশিদের আশু মুক্তি এবং কাগজপত্র বিহীন সকল বাংলাদেশিদের সহজশর্তে বৈধ করে নেবার দাবিতে প্যারিসের মালয়েশিয়ান দূতাবাসে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ স্মারকলিপি প্রদানের উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত বছর নভেম্বরে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিশ্বসম্মেলন ১ম বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিটের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ডাব্লিউবিও। ওই সামিটে প্রধান অতিথি ছিলেন মালয়েশিয়া সরকারের পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী দাতো সেরি নাজরি বিন আবদুল আজিজ। সামিট পরিবর্তী সময়ে মালয়েশিয়া সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয়ের সাথে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউবিও)।