মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেছেন, যেসব অভিবাসী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান উপকূলে ভেসে বেড়ানো সেসব ‘অভিবাসীদের দুরাবস্থার ব্যাপারে সচেতন’ তিনি। সমাধানের জন্য তাদের এলাকাজুড়ে ভাগাভাগি করে নেওয়ারও ইচ্ছে ছিলো তার। কিন্তু কথাটা এরপরে আর ব্যাখ্যা করেননি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। আর থাইল্যান্ড ভেসে আসা অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়াটাকে তাদের দীর্ঘকালীন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর হিসেবেই অভিহিত করছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
নাজিব রাজাক বলেন, ‘আমাদের এলাকায় অভিবাসীর দুরাবস্থার ব্যাপারে আমি সচেতন, তাদের কেউ কেউ আমাদের সমুদ্রতটে এসে পৌঁছেছে আর কিছু এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দলের সাথে যোগাযোগ করেছি। তাদের সাথে আলোচনা করেই আমরা সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে পারবো।’
বিষয়টিকে একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন তিনি।
থাইল্যান্ড এখনো তাদের সিদ্ধান্তেই অটল আছে। সমু্দ্র পথে আগত অভিবাসীদের তারা আবার সমুদ্রেই ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। নিজেদের এমন সিদ্ধান্তকে তারা তাদের দীর্ঘকালীন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর হিসেবেই অভিহিত করেছেন।
এর আগে প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গা অভিবাসীসহ একটি নৌকা থাইল্যান্ডের আদ্রিফে পৌছালে তারা পানি, খাবার দিয়ে এবং নৌকার ইঞ্জিন ঠিকঠাক করে নৌকাটিকে আবারো ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুখ চান-ও-চা বলেন, যদি অভিবাসীরা আমাদের পানি দিয়ে পার হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই। আমরা সবধরনের মানবিক সহায়তা তাদের করবো। কিন্তু কিভাবে আমরা তাদের উপকূলে বসবাস করতে দেবো? এত মানুষের দায়িত্ব আমরা কিভাবে নেব। তাদেরকে থাকতে দিলে পরে আরো অভিবাসী এদেশে আসবে। এতজনের দায়িত্ব আমরা কি করে নেব? কোনো দেশই কি এই দায়িত্বটা নেবে? সেটা আশা করাও নিশ্চয়ই ঠিক হবে না।’
ক্ষুধার্ত অভিবাসী ভরা নৌকাকে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড সমুদ্র উপকূল থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার কারণে জাতিসংঘের তোপের মুখে পড়েছে। তবে মালয়েশিয়া এখনো তাদের নীতি পরিবর্তনের কোনো কথা না বললেও প্রধানমন্ত্রী ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেওয়ার কথা বলেছেন।
গত সপ্তাহে প্রায় শখানেক মানুষ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছে এখনো প্রায় ৮,০০০ মানুষ সমুদ্রে নৌকায় করে ভাসছে এবং অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সময় কাটাচ্ছে।