মালয়েশিয়ায় প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে পারবেন না ইসলামিক বক্তা ডা. জাকির নায়েক। এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ।
এর আগে দেশটির জোহর, সেলাংগর, পেনাং, কেদাহ, পেরলিস, সারাওয়াক এবং মেলাকা প্রদেশে তার বক্তৃতা দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে পুরো দেশেই নিষিদ্ধ করা হয় জাকির নায়েককে।
মালয়েশিয়ার জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য করায় গতকাল সোমবার পুলিশের জেরার মুখে পড়েন জাকির নায়েক। এর কয়েক ঘণ্টা পর ক্ষমা চান তিনি।
তবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার পর মঙ্গলবার জাকির নায়েক ইসলামী উগ্রপন্থার প্রবক্তা নন বলে মন্তব্য করেন মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের মুফতি সেলিম ওয়ান মোহাম্মদ নূর।
চলতি মাসের শুরু জাকির নায়েক এক বক্তব্যে বলেন, ভারতের মুসলমানদের তুলনায় মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী হিন্দুরা ‘শতভাগ বেশি অধিকার’ ভোগ করেন। এছাড়াও, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশটিতে চীনারা অতিথির মর্যাদা পান।
দ্য স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ভারতে অর্থপাচার ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগে অভিযুক্ত জাকির নায়েককে তার সাম্প্রতিক মন্তব্যের জন্যে মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে।
বাংলাদেশের গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলায় ডা. জাকির নায়েকের কাছ থেকে জঙ্গিরা অনুপ্রেরণা পেয়েছিল- তদন্ত কর্মকর্তাদের এমন দাবির পর তার বিরুদ্ধে ভারতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
পরে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি বিভিন্ন দেশে ঘুরে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেন। গত প্রায় তিন বছর জাকির নায়েক সেদেশেই বসবাস করছেন।
মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান নুর মুশা সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ১৫০টি অভিযোগ রয়েছে।
এসব মন্তব্যের জেরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ শুক্রবার বলেছেন, বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েককে মালয়েশিয়ায় দেয়া স্থায়ী নাগরিকত্ব মর্যাদা বাতিল করা হতে পারে।