দশ রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমিক না নেয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ভবিষ্যতে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।
বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে এর বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এ ধরনের কোনো ক্ষতি হবে না বলে মনে করছে সরকার।
বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির অন্যতম বড় বাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে প্রতি বছর কয়েক লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়। ২০১৬ সালে জি-টু-জি প্লাস পদ্ধতির মাধ্যমে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির দায়িত্ব দেয়া হয়।
তবে এ প্রক্রিয়া শুরুর পরই সিন্ডিকেট করে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে। মালয়েশিয়া সরকারের তদন্তে বেরিয়ে আসে, গত কয়েক বছরে সিন্ডিকেটটি সেদেশে যাওয়া ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩শ ৩০ জন শ্রমিকের কাছ থেকে কমপক্ষে ৪ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
একুশে আগস্ট প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে মালয়েশিয়া সরকার জানায়, বিদ্যমান জি-টু-জি প্লাস পদ্ধতিতে আর শ্রমিক নেবে না তারা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মালয়েশিয়ার এ ধরনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে সরকারের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।
তবে অভিযুক্ত সিন্ডিকেট মালয়েশিয়ার বলে দাবি করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী জানান, অভিযোগের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, সমস্যার সমাধান ও ভবিষ্যতে কোন প্রক্রিয়ায় শ্রমিক পাঠানো হবে তা জানতে শিগগিরই মালয়েশিয়া সরকারের সাথে আলোচনা করা হবে।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: