পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি। বিশ্বের যে ছয়টি দেশে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী মিশন কাজ রয়েছে এরমধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই স্থানটি। প্রতিকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি শান্তিরক্ষীরাই এখানকার সন্ত্রাসীদের মূল লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছেন। সব প্রতিকূলতাকে জয় করে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা কাজ করছেন সাফল্যের সাথে যা প্রশংসা কুড়িয়েছে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের।
এখানে মৃত্যু ওঁৎ পেতে আছে প্রতিটি পদক্ষেপে অথচ কর্তব্যের ভিউ ফাইন্ডারে সদা সতর্ক চোখ জলপাই রঙ্গের পোশাক আর নীল হেলমেটের।
ইউরিনিয়াম, হিরা আর সোনা সমৃদ্ধ পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি, বাংলাদেশের প্রায় নয় গুণ বড় হলেও জনসংখ্যা মাত্র দেড় কোটি। ২০১২ সালে দেশের উত্তরাংশে তুয়ারেগ বিদ্রোহীরা যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু করেছিলো তা এখনও চলছে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে। এখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যোগ দেয় ২০১৩ সালে।
মালির রাজধানী বামাকোসহ গাও, কিডাল, তিমবুক্ত, মপতিতে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ব্যানব্যাট সিক্স, ব্যানইঞ্জিনিয়ার এবং ব্যানসিগ এই তিনটি কনটিনজেন্টের ১২০৭ জন সদস্য রয়েছে শান্তিরক্ষী হিসেবে বলে জানিয়েছেন মালির মিনুসমার কান্ট্রি সিনিয়র কর্ণেল এম খায়ের উদ্দীন।
যে আটটি স্থানে জাতিসংঘের হয়ে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা কাজ করছে তার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রতিকুল পরিস্থিতি এখানে। রয়েছে জঙ্গি-সন্ত্রাসী তার সঙ্গে বিদ্রোহী জাতিগোষ্ঠি। গত ছ’বছরে ১৪জন শান্তিরক্ষী সদস্যের আত্মাহুতি মিশে আছে এই মালির মাটিতে। শত প্রতিকুলতার পরও দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে প্রশংসিত বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন মালির এসআরএসজি মাহামাত সালেহ আনাদিফ।
মে. জেনারেল আমাদো ক্যান, এ্যাকটিং ফোর্স কামান্ডার বলেন,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাহসী সেনানীরা অহঙ্কারের উপমা। কেবল বাংলাদেশেই নয়, গোটা পৃথিবীতে আজ তারা শান্তির বাতিওয়ালা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে